নিরাপদ রাখুন বাসার ওয়াইফাই

প্রতীকী ছবি
০২ আগস্ট ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
আমরা অনেকেই মনে করি, ঘরের ওয়াইফাই যেহেতু ব্যক্তিগত, তাই সেটি নিরাপদ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, হ্যাকাররা অনেক সময় আপনার ওয়াইফাইয়ের ছোট কোনো ভুলের সুযোগ নিয়ে আপনার বা ওই নেটওয়ার্কের অন্য কারোর তথ্য চুরি করতে পারে। যদি ওয়াইফাই রাউটারের নিরাপত্তা ভালোভাবে সেট না করা হয় এবং এর ফ্রেমওয়ার্ক ও পাসওয়ার্ড নিয়মিত আপডেট না করা হয়, তবে এটি হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

মোবাইল স্লো হয়ে গেলে করণীয়
অনেক বাসায় এখনো অনেক পুরোনো রাউটার ব্যবহার করা হয়। যেহেতু রাউটার ঠিকঠাক মতোই চলছে, সেহেতু এটি পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা অনেকেই বোধ করেন না। তবে এসব রাউটারে ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলো অনেক পুরোনো হয়ে থাকে। ফলে তাতে নিরাপত্তার অনেক ঝুঁকি থাকতে পারে।
এছাড়া, অনেক সময় রাউটারের লগইন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন না করে ডিফল্ট পাসওয়ার্ডই ব্যবহার করে অনেকে, যা মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। এতে হ্যাকাররা সহজেই রাউটারে প্রবেশ করতে পারে এবং আপনার ডিভাইসে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ছবি, ব্যাংক তথ্য, বা পাসওয়ার্ড চুরি করতে পারে।
ওয়াইফাই হ্যাক করার একটি সাধারণ ও জনপ্রিয় কৌশল হলো ইভিল টুইন অ্যাটাক। এতে হ্যাকার আপনার ওয়াইফাইয়ের নামের মতো দেখতে একটি ভুয়া ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক তৈরি করে । আপনি ভুল করে সেখানে কানেক্ট করলে হ্যাকার আপনার তথ্য দেখে ফেলতে পারে। এমনকি আপনি কী টাইপ করছেন, তাও তারা বুঝে ফেলতে পারে। এটাকে বলা হয় ম্যান-ইন-দ্য-মিডল অ্যাটাক, যা খুব বিপজ্জনক।
আরেকটি সমস্যা হলো, অনেকেই ওয়াইফাই রাউটার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করলেও কখনো সেটির সফটওয়্যার ফ্রেমওয়ার্ক আপডেট করেন না। বেশির ভাগ রাউটারেই এই আপডেট থাকে না বা ব্যবহারকারীরা সেটা করেন না, ফলে হ্যাকারদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়। অথচ এই সফটওয়্যারগুলোয় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নতুন নিরাপত্তা ফিচার এবং পুরোনো ভুলগুলো ঠিক করা হয়। এসব সংশোধনী পরবর্তী আপডেটগুলোয় সংযুক্ত করা হয়। ফলে, রাউটারের সফটওয়্যার সবসময় আপডেট রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়াইফাই নিরাপদ রাখতে যা করতে পারেন তা হলো—রাউটারের ডিফল্ট পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন, নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করুন, অপরিচিত ডিভাইস কানেক্ট করতে দিলে গেস্ট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করুন এবং নিজের ডিভাইসে অ্যান্টিভাইরাস বা ফায়ারওয়াল ব্যবহার করুন।
ওয়াইফাই মানেই শুধু দ্রুত ইন্টারনেট নয়। ওয়াইফাই ব্যবহার করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কেউ হাতিয়ে নিচ্ছে কি না, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওয়াইফাই ব্যবহারে সচেতন হওয়া জরুরি, না হলে আপনার তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে।