জব্দ করা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবাল। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ইকবাল, তার দুই স্ত্রী ও সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব লেনদেন স্থগিত করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এরপরও এইচ বি এম ইকবাল তার নামে থাকা ব্যাংক হিসাব থেকে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ও ৩০ হাজার ডলার উত্তোলন করেন। 

ফেসবুকে লুট করা জুতা বিক্রির পোস্ট, আটক ১৪

বিষয়টি বিএফআইইউয়ের নজরে আসার পর ইকবালের মালিকানাধীন প্রিমিয়ার ব্যাংকের কাছে জানতে চাইলে সদুত্তর মেলেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের ২৩-এর ৬ ধারা অনুযায়ী জরিমানা করা হয়।

আইনে বলা আছে, কোনো হিসাব জব্দ বা স্থগিত করার পর মানতে ব্যর্থ হলে ব্যাংককে স্থিতির সমপরিমাণ জরিমানা করতে পারবে।

এইচ বি এম ইকবাল প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেন। তবে ব্যাংকটি এখনো তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান তার ছেলে ইমরান ইকবাল।

প্রিমিয়ার ব্যাংক সূত্র জানায়, ওই হিসাবে থাকা পুরো টাকা ও ডলারই উত্তোলন করে ফেলা হয়েছে। এইচ বি এম ইকবাল ও তার পরিবারের সদস্যরা সরকার পরিবর্তনের পরেই দুবাইয়ে চলে যান। এরপরও নানা কৌশলে ব্যাংক থেকে সুবিধা নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইকবাল পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, দুবাইয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তুলেছেন এইচ বি এম ইকবাল। সেখানে কাচের কারখানা ও তারকা হোটেলে বিনিয়োগ করেছেন তারা।