রিকশা চালানো শিখেছি : নভেরা
ভার্সেটাইল অভিনেত্রী নভেরা রহমান অভিনীত অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘রিকশাগার্ল’ সিনেমাটি আগামী ২৪ জানুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। সিনেমাটিতে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘নাঈমা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। নভেরা জন্ম থেকেই সহজাতভাবে একজন অভিনেত্রী। তাই ‘রিকশাগার্ল’ সংশ্লিষ্ট সবারই প্রত্যাশা ‘নাঈমা’ চরিত্র দিয়ে দর্শককে মুগ্ধ করবেন, চমকে দেবেন নভেরা।

ছবি : সংগৃহীত
২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
‘রিকশাগার্ল’ সিনেমাটা মানুষ হলে গিয়ে কেন দেখবে বলে আপনি মনে করেন?

জেমসের কনসার্টে মোবাইল চুরির হিড়িক
রিকশাগার্ল সিনামাটি দর্শকের দেখা উচিত, কারণ এটা একেবারে ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে একটা সিনেমা। গ্রাম থেকে সচরাচর মানুষজন ঢাকায় আসে তাদের কাজের জন্য, ফ্যামিলির জন্য। তো সে রকমই ঠিক একটি গল্প। আর ঢাকার রিকশা চালকদের নিয়ে একটি গল্প আর রিকশা ওয়ার্ল্ডকে, রিকশা আর্টকে তুলে ধরা হয়েছে, তাই ঢাকার মানুষের এই সিনেমাটা দেখা উচিত বলে মনে করি।
এই সিনেমায় আপনার অভিনয় প্রসঙ্গে কিছু বলুন...
এই সিনেমায় আমি যোগ দেই অনেক পরে। প্রথমে তারা ৩০০ জনের মতো অডিশন করিয়েছিলেন। তারপর আমি অডিশন দেই, সেখান থেকে অনেক ধরনের কষ্ট করতে হয়েছে, অনেক কিছু শিখতে হয়েছে। রিকশা চালানো শিখেছি। নিজেকে অনেক স্ট্রং করতে হয়েছে যাতে আসলেই ঢাকার রাস্তায় আমি রিকশা চালাতে পারি মানুষকে নিয়ে। তো সেদিক থেকে অভিনয়টা বেশ কঠিন ছিল। আমি সচরাচর এই রকম চরিত্রই বেছে নেই, কিন্তু এটা অনেক ফিজিক্যালি ডিমান্ডিং একটা অ্যাক্টিং জব ছিল।
কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
কাজ করতে গিয়ে অনেক ধরনের মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমরা রিসার্চের কাজ করেছি। যারা, যেই মেয়েরা ঢাকায় রিকশা চালায় তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। এরপর সোলাইমান ভাই যিনি আমাদের ফিল্মের সব আর্টের কাজ করেছেন, তার রিকশা আর্ট দেখেছি, তার কাছ থেকে তালীম নিয়েছি শেখার জন্য। আর ঢাকার ভেতর রিকশা চালিয়েছি এই অভিজ্ঞতাটা অনেক ইন্টারেস্টিং এবং ভালো। এখানেই আমার বেশি মজা লেগেছে, যেই শহরে আমি বড় হয়েছি সেই শহরেই পেছনে আসল যাত্রী নিয়ে জ্যামের মধ্যে রিকশা চালিয়েছি।
এর আগে কী কী সিনেমা বা নাটকে কাজ করেছেন?
আমি ছোটবেলা থেকে কাজ করি। টুকটাক টিভি নাটকে কাজ করেছি। রেডিও এবং অ্যাডভার্টাইজমেন্টেও কাজ করেছি। এর পাশাপাশি রুবাইয়াত হোসেনের ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি সিনেমায় কাজ করেছি। তারপর কয়েকটি শর্টফিল্মে কাজ করেছি। শঙ্খ দাস গুপ্তর ‘সুন্দর টার্ন’ করেছি। এরপর আমার ‘রিকশাগার্ল’ সিনেমায় অভিনয় করা। এর আগে মান্নান হীরার একটা ফিল্মে ছোট একটা রোল প্লে করেছিলাম। এছাড়াও আমি ঢাকায় থিয়েটার করেছি। ইংলিশে থিয়েটার করেছি যাত্রী প্রডাকশন থেকে ‘বেগমস ব্লান্ডার’।
অভিনয়ের শুরুটা কীভাবে?
অভিনয় আমি অনেক ছোটবেলা থেকে করি। আমার মা একজন অভিনেত্রী, তার সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে আমার অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়। প্রথম কাজ ছিল আমার ৪ মাস বয়সে বিটিভির ‘দূরে কোথাও’ নাটকে। প্রথম সিন ছিল আমার সুমিতা দেবীর কোলে।
অভিনয় ছাড়া অন্যকোনো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে কি?
আমি মিডিয়া ছাড়াও অন্য অনেক কিছু করি। আমি নিজে আর্ট করতাম আগে আর এখন আমি ফুলটাইম প্রযোজনা করি। আমি অ্যাডভার্টাইজিং প্রডিউসার হিসেবে কাজ করছি, আমি লন্ডনে গিয়েছিলাম প্রডিউসিং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে কথা বলতে, সেখান থেকে শেষ করার পরে আমি ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি, তার পাশাপাশি আমি অ্যাডভার্টাইজিং প্রডিউস করছি। লন্ডনেও করেছি এখন ঢাকায় করছি।
রিকশাগার্ল এ পর্যন্ত বিশ্বের ৩০টির বেশি আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শনের পাশাপাশি ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ রাজ্যের ৫২টি শহরে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছে।