গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার

ছবি : সংগৃহীত
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
গাজায় মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মোট আহত এক লাখ ছয় হাজার ৯৬২ জন। গত বছরের সাত অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। সে সময় থেকেই ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটতে শুরু করে। একাধিকবার আন্তর্জাতিক মহল থেকে উদ্বেগ জানানো হলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। উল্টো প্রতিবারই ইসরায়েল সবার আপত্তিকে উপেক্ষা করে হামলা চালিয়ে গেছে, গাজায় তৈরি করেছে মানবেতর পরিস্থিতি।

বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলছে ভারত
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫২ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ২০৩ জন।
আল-জাজিরার খবর বলছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবির, বেইত লাহিয়া, কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে হামলা হয়েছে। সকাল থেকেই ব্যাপক বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গেছে। এ ছাড়া খান ইউনিসে এক স্কুলে হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলায় ২০ জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
গাজার উত্তরাঞ্চল বেইত লাহিয়াতে ইসরায়েলি হামলায় একটি আবাসিক বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। সেখানে অন্তত ৫ জন মারা গেছেন। গাজার উত্তরে ইসরায়েলে এত বেশি হামলা চালাচ্ছে যে সেখানে উদ্ধারকাজও চালানো সম্ভব হচ্ছে না। উপত্যকাটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা টিম জানিয়েছে, ৭০ দিনেরও বেশি সময় ধরে তারা ওই অঞ্চল থেকে কাউকে উদ্ধার করতে পারছে না। কারও লাশও বের করে আনতে পারছেন না।
আল-জাজিরার খবর বলছে, ক্রমাগত গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চলছে। কোয়াডকপ্টার দিয়ে ফিলিস্তিনিদের ধাওয়া করা হচ্ছে এবং রাস্তায় হত্যা করা হচ্ছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা টিম বলছে, সেখানে তারা অনেককেই রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখছে, কিন্তু কেউ তাদের কারও কাছে যেতে পারছে না।
গাজার লাইব্রেরিগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে
গাজা উপত্যকাজুড়ে এক ডজনেরও বেশি লাইব্রেরি গত ৪০০ দিনের ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যানুসারে, মোট ১৩টি পাবলিক লাইব্রেরি বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে থাকা লাইব্রেরিগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কতটা তীব্র, তা এখনো জানা যায়নি। তবে সেগুলোও অক্ষত নেই। সূত্র: আল-জাজিরা