চীনে বাংলাদেশের ২৪ প্রস্তাব

প্রতীকী ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২২ পিএম

বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হবে চলতি বছর। এ উপলক্ষে উভয় পক্ষই বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিতে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনকে ২৪টি প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যা দুই দেশের সম্মতিতে গৃহীত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বেইজিং সফরে যাচ্ছেন।


ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান

সফরকালে তিনি ২১ জানুয়ারি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই'য়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনকে এই ২৪টি প্রস্তাব দেওয়া হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের কাছে যে ২৪টি প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো হলো-


১. উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উপদেষ্টা ও অন্যান্য মন্ত্রী পর্যায়ের সফর বিনিময়।২. বাংলাদেশের তরুণ নেতাদের চীনে, চীনা তরুণ নেতাদের বাংলাদেশে সফর।৩. বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী বা নাগরিক সমাজের সদস্যদের চীন সফর বিনিময়।৪. বাংলাদেশ ও চীনের মিডিয়া বা থিঙ্কট্যাঙ্ক সদস্যদের সফর বিনিময়।

৫. বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ক্রীড়া দলের সফর বিনিময়।৬. বাংলাদেশ ও চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি।৭. চীনা হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই।৮. পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে একে অপরের রাজধানীতে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা।

৯. বাংলাদেশ এবং চীনা শহরগুলোর মধ্যে সিস্টার সিটি চুক্তি।১০. বেইজিং, সাংহাই, কুনমিংয়ে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী। বাংলাদেশ থেকে চীনে সাংস্কৃতিক দলের সফর।১১. চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অনুষ্ঠানের আয়োজন।১২. আগামী ৪ অক্টোবর ঢাকা এবং বেইজিং উভয় স্থানে একযোগে স্মারক ডাকটিকিট এবং খামের যৌথ প্রকাশ।

১৩. বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় সিম্পোজিয়াম আয়োজন।১৪. চীনের জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় নারী ক্রিকেট দলকে চীনে পাঠানো।১৫. বেইজিং, কুনমিং, সাংহাই ও হংকংয়ে খাদ্য উৎসব আয়োজন।১৬. দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে আগামী ৪ অক্টোবর চায়না ডেইলি বা অন্য কোনও চীনা সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা।

১৭. চীনে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন।১৮. মেঘনা বা পদ্মা নদীতে নৌকা বাইচ আয়োজন।১৯. ঢাকায় চীনা দূতাবাসের সঙ্গে যৌথভাবে ঘুড়ি উৎসব আয়োজন।২০. বেইজিং বা হংকংয়ে বাংলাদেশ সঙ্গীত উৎসব আয়োজন।

২১. বেইজিং এবং সাংহাইয়ে একক দেশের বাণিজ্য মেলা আয়োজন।২২. কুনমিং বা সাংহাইয়ে বাণিজ্য প্রদর্শনীর আয়োজন।২৩. চীনা বিনিয়োগকারী বা তরুণ চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো।২৪. চীনা বিনিয়োগ বাংলাদেশে আনতে সাংহাইয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সেমিনার আয়োজন।

এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী মার্চ মাসে সফরের প্রস্তাব দিয়েছে চীন। আগামী ২৭-২৮ মার্চ বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় বাও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে তাকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফরকালে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে।