গোয়েন্দাদের জন্য আরবি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে ইসরায়েল

ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) গোয়েন্দা শাখার সকল সৈন্য ও কর্মকর্তাদের জন্য ইসলাম, কুরআন এবং আরবি ভাষা শেখা এবং অধ্যয়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে হুথি এবং ইরাকি উপভাষার পাঠও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এটি ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।


ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

জেরুজালেম পোস্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আইডিএফ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেট, যা হিব্রুতে AMAN নামে পরিচিত, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালের ঘটনার গোয়েন্দা ব্যর্থতার পর আরবি ভাষা এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন কর্মসূচিতে ব্যাপক সংস্কার চালু করেছে।


এই প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী বছরের শেষ নাগাদ, ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সব সদস্যকে ইসলামিক স্টাডিজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই উদ্যোগটি আমান প্রধান মেজর জেনারেল শ্লোমি বাইন্ডারের নেওয়া বেশ কয়েকটি উদ্যোগের মধ্যে একটি।

এর জন্য সমস্ত গোয়েন্দা কর্মীদের, যাদের মধ্যে যুদ্ধবিহীন ভূমিকায় নিযুক্ত ব্যক্তিরাও রয়েছেন, তাদের আরবি বা ইসলামিক শিক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

এই কর্মসূচিতে হুতি ও ইরাকি উপভাষায় বিশেষ প্রশিক্ষণের ওপরও জোর দেওয়া হবে কারণ গোয়েন্দারা হুথি যোগাযোগ ডিসাইফার (সাংকেতিক বার্তা পাঠোদ্ধার) করতে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইয়েমেন ও আরবের অন্যান্য অংশে সামাজিকভাবে প্রচলিত চর্বনযোগ্য হালকা মাদকদ্রব্য ‘কাত’ ব্যবহারের কারণে কথার স্পষ্টতা অনেকটাই নষ্ট হয়। এই নতুন নিয়মের বিষয়ে আমানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলি আর্মি রেডিওকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা সংস্কৃতি, ভাষা এবং ইসলামের বিষয়ে যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। এই ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের উন্নতি করতে হবে। আমরা আমাদের গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের গ্রামে বেড়ে ওঠা আরব বাচ্চাদের মতো বানাব না, তবে ভাষা ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের মাধ্যমে আমরা তাদের মধ্যে সন্দেহ এবং গভীর পর্যবেক্ষণ তৈরি করতে পারব।’