ভারত-ইসরায়েলের নতুন চুক্তি সই

ছবি : সংগৃহীত
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে একটি নতুন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করেছে ভারত ও ইসরাইল। সোমবার ইসরাইলের কট্টর-ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচের ভারত সফরের সময় এ বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। খবর আল জাজিরার।
তুরস্ককে কৃতজ্ঞতা জানাল রাশিয়া
ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী স্বাক্ষরিত এই চুক্তির লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধি করা। ‘সাইবার নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, উদ্ভাবন এবং উচ্চ-প্রযুক্তি’ ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন সীতারমণ।
অন্যদিকে স্মোট্রিচ একে ‘কৌশলগত পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে জানান, এটি নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে, ইসরাইলের রপ্তানি বাড়াবে এবং ভারতীয় বাজারে ব্যবসার পরিবেশ আরো অনুকূল করবে।
এই চুক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন স্মোত্রিচ। অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনের সাথে জড়িত থাকার জন্য বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
ভারতীয় অর্থমন্ত্রী এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি আর্থিক সেবা, অনলাইন লেনদেন, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্থিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াবে।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে ভারত–ইসরায়েল দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৯০ কোটি ডলার। পারস্পরিক বিনিয়োগ প্রায় ৮০ কোটি ডলার হলেও বাণিজ্যের বড় অংশই প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতকেন্দ্রিক। ভারত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ক্রেতাও।
গত বছর আল জাজিরার একটি অনুসন্ধানে উঠে আসে, ভারতীয় কোম্পানিগুলো ইসরায়েলকে রকেট ও বিস্ফোরক সরবরাহ করেছে, যা গাজা যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে ইসরায়েল যখন ক্রমে রাজনৈতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়ছে, তখন ভারতের সঙ্গে নতুন এই চুক্তি দুই দেশের ঘনিষ্ঠতা আরো স্পষ্ট করছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালে ভারত-ইসরাইলের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ছিল ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, যেখানে বর্তমান দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের সিংহভাগই প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে। নয়াদিল্লি ইসরাইলের অস্ত্রের বৃহত্তম ক্রেতা।


