ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি হামাসের জন্য পুরস্কার : ট্রাম্প

ছবি : সংগৃহীত
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে একতরফা স্বীকৃতি দেওয়া আসলে হামাসকে পুরস্কৃত করার শামিল। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) একই সঙ্গে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও তাৎক্ষণিকভাবে শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
পাল্টা হামলা আফগানিস্তানের, নিহত ১৯ পাক সেনা
ট্রাম্প বলেন, এই সংস্থার কিছু সদস্য একতরফাভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চাইছে। এতে হামাস তাদের নৃশংসতার জন্য পুরস্কৃত হবে। তারা এখনও জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, যুদ্ধবিরতিও মানছে না।
ইউরোপের কয়েকটি দেশ সোমবার জাতিসংঘ অধিবেশনের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এ পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করেনি। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, যারা শান্তি চায় তাদের এক কণ্ঠে বলা উচিত যে,জিম্মিদের মুক্তি দাও, এখনই মুক্তি দাও।
ভাষণে ট্রাম্প গাজার যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনায় বসতে হবে। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হবে। যুদ্ধ থামাতে হবে।
শান্তি প্রচেষ্টার প্রসঙ্গে নোবেল পুরস্কারের বিষয়টিও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তার দাবি, বিশ্বজুড়ে শান্তি স্থাপনে কাজ করে তিনি একাধিক যুদ্ধ বন্ধ করেছেন। কিন্তু জাতিসংঘ কখনও তাকে সহায়তা করেনি। তিনি বলেন, আমার কাছে পুরস্কার গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাণ বাঁচানো।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, আর্মেনিয়া-আজারবাইজান, কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড, ইসরায়েল-ইরান, ভারত-পাকিস্তান, রুয়ান্ডা-কঙ্গো, মিসর-ইথিওপিয়া ও সার্বিয়া-কসোভোর মতো সাতটি সংঘাত তিনি অবসান করেছেন।
বক্তব্যে তিনি ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসন নীতিরও কড়া সমালোচনা করেন। ট্রাম্প বলেন, উন্মুক্ত সীমান্ত নামের ব্যর্থ পরীক্ষার এখনই অবসান ঘটাতে হবে। জাতিসংঘ আমাদের সমস্যার সমাধান করছে না, বরং নতুন সমস্যা তৈরি করছে। অভিবাসন এখন সময়ের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ইস্যু। অবৈধ অভিবাসীরা আমাদের সীমান্ত ভেঙে ঢুকে পড়ছে, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি, জাতিসংঘ খাদ্য, আশ্রয়, পরিবহন ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে এসব অভিবাসীকে সহায়তা করছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের কাজ দেশগুলোকে রক্ষা করা, আক্রমণ তৈরি করা নয় এবং তা অর্থায়ন করা নয়।

