হিমালয়ের ন্যায় অটল ডা. জোবাইদা রহমান

ছবি : সংগৃহীত
২৮ মে ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
হিমালয় পর্বতের ন্যায় অটল ডা. জোবাইদা রহমান। যেন জীবন্ত এক কিংবদন্তী। পর্বতের ন্যায় বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির ঐক্য, দৃঢ়তায় স্বামী তারেক রহমানকে সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার অনুমতি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন ফখর-মঈনুদ্দীনের সরকার। পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত হিমালয় ভারতে, দেখার শখ পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের জীবন্ত এক কিংবদন্তী মনীষী ডা. জোবাইদা রহমানের পর্বতের ন্যায় অবস্থান দেখার পর। চরম দুঃসময়ে সম্পূর্ণ একা এই মনীষী হাল ধরেছিলেন দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জিয়া পরিবারের।

ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে ছিলেন মওলানা ভাসানী
দুর্যোগময় ২০০৬-২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় তিন বছর বিগত অবৈধ ফখর-মঈনুদ্দীন সরকারের দুঃশাসনের শিকার দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার পরিবার। জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ দুই পুত্র জেলখানায় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নির্মমতায় মৃত্যুর পথযাত্রী দুই চোখের মণি সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের আগামী নেতৃত্ব জনাব তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো। সরকারের নির্দেশে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা দ্বারা নির্যাতিত ও হয়রানির শিকার নিজে ডা. জোবায়দা রহমান হওয়ার পরেও হাল ছাড়েননি দল ও পরিবারের। শক্ত হাতে স্থির অবস্থায় মোকাবিলা করেছেন সকল প্রতিক’লতার। নিজের প্রাণপ্রিয় স্বামীকে বাঁচাতে পারলেও পারেননি সন্তানলভ্য আরাফাত রহমান কোকোকে। বুক ভরা ব্যথা, চোখে অশ্রু, ভেজা কণ্ঠে মহান সৃষ্টিকর্তার সুবিচার কামনা অবশেষে ফল মিলেছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে।
অবৈধ শাসনে সীমাহীন নির্যাতন-নিষ্পেষণ, হয়রানি ও নির্মমতার শিকার তিনি। স্বামী অর্ধমৃত, শাশুড়ি জেলখানায়, দেবর মৃত্যুপথযাত্রী। অবৈধ সরকারের শিকলবদ্ধ। ছোট ছোট সন্তান ও দেশের সর্ববৃহৎরাজনৈতিক দল বিএনপির নির্যাতিত-নিষ্পেষিত সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং দুঃসহনীয় সময়ে দৃঢ় ও সংকল্পবদ্ধ অবস্থায় রাজনৈতিক দল ও পরিবার রক্ষা কঠিন সংগ্রামে লিপ্ত ডা. জোবায়দা রহমান চাকরিজীবনে তিনিই সম্ভবত একজন সুচিকিৎসক হয়েও হয়রানির শিকার হয়েও সুযোগ পেয়েও প্রতিশোধ স্পৃহা না থাকায় আগামী দিনের দেশ ও বহির্বিশ্বে সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য আস্থাশীল জিয়া পরিবারের এই সদস্যের সাম্প্রতিক দেশে আগমণ প্রাণচঞ্চল সাধারণ মানুষের উৎসাহ ভাটা পড়ছে ডা. জোবায়দা রহমানকে দল পরিচালনায় দায়িত্ব না দেওয়ায়।
প্রকাশ করা যায়, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জ্যোষ্ঠপুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের উপর দল পরিচালনার কোনো দায়িত্ব এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত না দেওয়ায় হতাশাগ্রস্ত দেশের মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মী। যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরা বেগম খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী দুই পুত্রবধূর মধ্যে ডা. জোবায়দা রহমান দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর প্রবাসে থেকে দেশে আগমন প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক ও দেশ-বহির্বিশে^র কোটি কোটি মানুষের অতৃপ্ত দু’চোখ তৃপ্ততার পূর্ণ হয় ডা. জোবায়দা রহমানকে একনজর দেখার পর।
হিমালয় পর্বত পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত দেখার শখ আমার মতো অসংখ্য মানুষের থাকলেও হিমালয় পর্বতের ন্যায় জীবন্ত মনীষী ডা. জোবায়দা রহমান। যিনি শত নির্যাতন ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে থেকেও বিতর্কমুক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন চরম দুঃসময়ে। ২০০৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতার দায়িত্বে থাকা ফখর-মঈনুদ্দীনের অবৈধ সরকারের সীমাহীন নির্মমতায় নেমে আসে দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাকর্মীর উপর। দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা জিয়া পরিবারের উপর সরকারের নির্মমতা থেকে রক্ষা পায়নি পরিবারের কোনো সদস্য। কোনো অন্যায়-অপরাধ না করে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যোষ্ঠ ও কনিষ্ঠপুত্র জনাব তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে অন্যায়ভাবে আটক, কারারুদ্ধ অবস্থায় সরকারের নির্যাতনের শিকার হয় তারা। যার মধ্যে বর্তমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে রিমান্ডের নামে শারিরীক নির্যাতন, মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলা, হত্যার উদ্দেশ্যে স্লো পয়জন প্রয়োগের শিকার তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো। মৃত্যুপথযাত্রী দুই ভাইকে চিকিৎসার জন্য কারা হসপিটালে নেওয়া হলে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেয় পরিবার দলীয় নেতাকর্মীর জন্য। এমন অসহনীয় মুহূর্তে ঢাকা থেকে মফস্বল শহরে বদলি করে দেওয়া হয় সুচিকিৎসক ডা. জোবায়দা রহমানকে। সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য ও হয়রানির জন্য এমন বদলির ঘটনায় ক্ষুব্ধ দেশ ও বহির্বিশ্বের মানুষ।
অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০০৮ সালে আদালতের সিদ্ধান্তে জিয়া পরিবারের দুই সদস্য তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে স্বামী তারেক রহমানকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান চিকিৎসার জন্য। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরা ডা. জোবায়দা রহমানকে নিয়ে আশা-আকাঙ্খা ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় মাতোয়ারা মানুষের আকাঙ্খা দিনে দিনে ভাটা পড়ছে বিএনপির নেতৃত্বে থাকা শীর্ষ নেতাদের কর্মযজ্ঞের কারণে। বিগত দুঃসময়ে ধৈর্য-মেধা ও বিচক্ষণতার সাথে পরিবার, বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রায় তিন বছর পর্দার আড়াল থেকে পরিচালনা করে আসা ডা. জোবায়দা রহমান শত প্রতিকূলতা পর্বতের ন্যায় দৃঢ় অবস্থান সর্বজনীন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হলেও বর্তমান অনুক’ল পরিবেশে কেন দায়িত¦ দেওয়া হচ্ছে না ডা. জোবায়দা রহমানকে এমন প্রশ্ন সবার।