কিছু রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য বিএনপির জনপ্রিয়তায় চিড় ধরানো। এই জন্য তারা গ্রহণ করেছে দাওয়াতিসহ নানান শৈল্পিক কর্মসূচি। যার মাধ্যমে মানুষের মগজধোলাই করা হচ্ছে নিপুণভাবে। আর এই সুযোগ তৈরি করেছে বিএনপির অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা বিভিন্ন দল বা সংস্থার এজেন্টরা। তাদের অনৈতিক কর্মতৎপরতায় ক্ষুব্ধ নীতিনির্ধারকরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের বহুল প্রচার না থাকায় এর উল্টো চিত্র উপস্থাপনের মাধ্যমে জনমত কাছে টানার অপচেষ্টা চলছে।

একুশে বইমেলার উদ্বোধন করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভক্ত দলগুলো কর্মসূচির নামে নাটকীয়তায় বিরক্ত মানুষ। বিগত দিনের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও আর্থিক খাতগুলো ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ সীমিত রাখতেই দলীয় নাটক রাজপথে। মানুষের আকাঙ্খা- শেষ হোক এমন হয়রানিমূলক রাজনৈতিক তৎপরতা। দেশের শাসনভার অদলীয় নিরপেক্ষ মানুষের হাতে থাকলেও কেন চলছে রাজনৈতিক তৎপরতা দলগুলোর। রাজপথ গরম রাখতে সাংগঠনিক তৎপরতা, পরিকল্পিত পথ-নাটকের মঞ্চায়ন হিসেবে বিবেচিত সচেতন মহলে।

বিপুল জনসমর্থিত রাজনৈতিক দল বিএনপি ভীত কতিপয় রাজনৈতিক দল। গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত দলটির জনপ্রিয়তা হ্রাসের জন্য। যেকোনোভাবে ফাটল ধরাতে চায় জনসমর্থনে। প্রায় সমমনা দলগুলোর অনুক‚লে জনসমর্থন টানতে প্রকাশ করছে বিএনপির দুর্বল স্থান ও দুর্বৃত্তদের অনৈতিক তৎপরতার ফিরিস্তি। ৫ আগস্ট ২০২৪ ক্ষমতাসীন বামদলীয় সরকার পতন দেশছাড়া হয় শূন্য রাজনীতির ময়দান। বামদলীয় শূণ্যতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলীয় জনপ্রিয়তার পাল্লা ভারী করার তৎপরতার অংশবিশেষে সাম্প্রতিক কতিপয় রাজনৈতিক দলের ইস্যুবিহীন কর্মসূচির গভীরতা জানতে অনুসন্ধানে বের হয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বিশেষ করে ৫ আগস্ট ২০২৪ তিনদিন সরকারবিহীন দেশ ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে বৃহৎ দল বিএনপির অভ্যন্তরীণ দুর্বৃত্তরা ঝাঁপিয়ে পড়ে চাঁদাবাজি, দখল, টেন্ডার, ছিনতাই, হাটবাজার, খেয়াঘাট, জলাশয়, বালু, মাটিমহল, বড়-ছোট মাঝারি নানান শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক কার্যক্রম নিজ গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রাখতে অপর গ্রুপের ওপর হামলা চালাতেও পিছুপা হয়না দুর্বৃত্তরা। প্রায় খাতেই তৎপরতা অন্তর্ভুক্ত ট্রাক-বাস, মিনিবাস, সিএনজি, অটোরিকশায় চাঁদাবাজির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আর্থিক সুবিধায় পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপি প্রভাবশালী নেতা ও প্রজাতন্ত্রের বিতর্কিত কর্মকর্তাদের বাসাবাড়ি পাহারা পুঁজি ছাড়াই তাদের ব্যবসায়ী অংশীদারি ঘটনায় বিব্রত বিএনপি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কার ও অনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বারবার নির্দেশ দিলেও উপেক্ষিত অভ্যন্তরীণ দুর্বৃত্তদের কাছে। যার ফলে বিব্রত ও বিরক্ত অধিকাংশ মানুষ তাদের সমর্থন প্রত্যাহারের চিন্তাভাবনার আভাস মেলায় বিভক্ত দলগুলোর এমন তৎপরতা।

প্রকাশ করা যায় যে, দেশের জাতীয় সংসদের ১৩তম সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্ভাব্য রাজনৈতিক দলগুলো দেশ ও বহির্বিশে^ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে দেশব্যাপী জনমত জরিপে উঠে আসে বিএনপির বিপুল জনসমর্থন ও জনপ্রিয়তার বিষয়টি। গোপন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ডানপন্থী কতিপয় রাজনৈতিক দল বিএনপির জনপ্রিয়তায় ফাটল ও তাদের অনুকূলে ফিরে আনতে গ্রহণ করে রাজনৈতিক নানান কর্মসূচি। গত ৫ আগস্ট ২০২৪ পরে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বিদ্যমান থাকলেও সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ ও তৎপরতা চালানোর মতো কোনো শক্ত ইস্যু না থাকলেও বেশ কিছুদিন যাবৎ উত্তপ্ত দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। যার প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ সরকারপ্রধান পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেওয়ায় চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি সীমিত করার নির্দেশ দিলে শান্ত হয় বিএনপি।

অন্যদিকে বিএনপির এই নীরবতাকে নিজেদের সফলতার অংশ মনে করে ডানপন্থী কিছু রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় তৎপরতা রাজধানী থেকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দেন। ছোট ছোট দল গঠন করে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে জানান দিচ্ছেন তাদের আগামী দিনের লক্ষ্য ও কার্যক্রম। একই সঙ্গে মানুষের মাঝে নম্র ভাষায় বিনয়ের সঙ্গে উপস্থাপন করছেন। গত ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে দুর্বৃত্তদের অনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে পাশাপাশি বলছেন বিএনপি দলীয়ভাবে খুব দুর্বল। তাদের ভালো নেতাকর্মী নেই। কারণ, আওয়ামী লীগের সময় বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে ইটবোঝাই ট্রাক দিয়ে রাস্তা বন্ধ জেল দিলেও বিএনপি কিছুই করতে পারে নাই তাদের নেতাকর্মী না থাকার কারণে। 

তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাস্তায় নামাজ পড়া মানুষগুলো যারা হাসিনাকে পতন করেছে এখানে বিএনপি কিছুই করতে পারেনি। এমন তথ্যগুলো সুকৌশলে মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছে ডানপন্থী কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। ফজরের নামাজের পর থেকে মুসল্লিা বেশে এমন তৎপরতা চালাচ্ছেন তাদের মহিলা দলের নেতাকর্মীরাও। তারা মহিলাদের কাছে নিজেদের আদর্শ প্রচার একই উপায়ে।