অপপ্রচারের প্রতিবাদ কৃষক দলের

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
ঝুট ব্যবসার দখল নিয়ে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে কৃষক দল নেতা-কর্মীদের জড়িয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাজীপুর জেলা কৃষক দলের সদ্য বহিষ্কৃত আহবায়ক এসএম আবুল কালাম আজাদ। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) শ্রীপুরের এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেড কারখানার ঝুট ব্যবসার দখল নিয়ে স্থানীয় আগ্রহী কয়েকটি ঝুট ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা হয়। ওই ঘটনায় কৃষক দলের কোনো নেতাকর্মী এবং সমর্থক জড়িত ছিল না। ওই সংঘর্ষের সময় সাংগঠনিক কাজে আমি ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছিলাম।
স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আমাকে এবং কৃষক দলকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমি ওই সংঘর্ষের বিষয়ে কিছু জানি না। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। তাছাড়া কৃষক দলের কোনো নেতাকর্মী বা সমর্থক ঝুট ব্যবসার ঘটনায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। ঘটনার দিন অনেক সাংবাদিক ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বক্তব্যও নিয়েছেন। আমি সাংবাদিক ভাইদেরকে বলেছি ঢাকায় দলীয় কার্যালয়ে রয়েছি। ঝুট ব্যবসা বা দখল নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়ে আমার জানা নেই। হামলা কে করছে, কাদের মধ্যে হয়েছে সে বিষয়েও আমি কিছুই জানতাম না।
তিনি আরো বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন পরীক্ষিত কর্মী। সবসময় দলের পক্ষে কাজ করেছি এবং দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীসহ নিজে উপস্থিত থেকে দলের প্রতিটি কর্মসূচি পালন করেছি। বিভিন্ন সময় মামলা-হামলার শিকার হয়ে কারাবরণও করেছি। আমার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্র করে সাংবাদিক ভাইদেরকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে কৃষক দলের নেতা-কর্মীদের জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। প্রকৃতপক্ষে ওই দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় আমি তথা কৃষক দলের কেউ জড়িত বা সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমি সবসময় দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সকল নির্দেশনা মেনে চলে দলের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি।
এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জয়নাল আবেদীন জানান, ঝুট ব্যবসার জন্য স্থানীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ক অর্ডার জমা দেয়। তাদের মধ্যে থেকে যাচাইবাছাই করে চঞ্চল এন্টারপ্রাইজের মালিক এসএম পলাশ চঞ্চলকে ওয়ার্ক অর্ডার দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এসএম আবুল কালাম আজাদ নামে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ক অর্ডার জমা দেয়নি।