কুমিল্লা-৯ আসন পুনর্বহালের দাবি ইসিতে

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
কুমিল্লা-৯ এলাকা ও কুমিল্লা-১২ আসন পুনর্বহাল চায় ‘কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ’। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালের দাবিতে কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের প্রতিনিধিদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
.jpg)
বাউফলে রোগীদের মাঝে ছাত্রদলের সেহরি বিতরণ
এ বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার- সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, কুমিল্লার কৃতিসন্তান ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের সভাপতি এড. গোলাম ফারুক এর নেতৃত্বে ৯ সদস্যর প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘২০০৮ সালে ৩০টি আসন জনসংখ্যার কথা বলে পরিবর্তন করা হয়। কুমিল্লা-৯ কে প্রথমে ২ ভাগে ও পরে ৩ ভাগ করা হয়। উচ্চ আদালতে কুমিল্লা-৯ আসনকে ৩ ভাগ করার বিরুদ্ধে রিট করার পর হাইকোর্ট এই ভাবে আসন করাকে অবৈধ ঘোষণা করে। কিন্তু তৎকালীন নির্বাচন কমিশনগুলো হাইকোর্টের রায়কে উপেক্ষা করে। তাই আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কাছে কুমিল্লা-৯ এলাকা ও কুমিল্লা-১২ আসন পুনর্বহাল চেয়ে আবেদন করেছি। কমিশন সীমানা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা শেষে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।’
সিইসিকে দেওয়া এক স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা-৯, কুমিল্লা আদর্শ সদর-এর ছয়টি ইউনিয়ন- বিজয়পুর, বারপাড়া, পূর্ব জোড়কানন, পশ্চিম জোড়কানন, গলিয়ারা ও চৌয়ারা এবং লাকসাম উত্তরের চারটি ইউনিয়ন- বাগমারা, ভুলইন, বেলঘর, পেরুল নিয়ে ২৫৬ কুমিল্লা নির্বাচনী এলাকা গঠিত হয়েছিল। এই আসন ব্যবস্থা ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগ, ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সনে বিএনপি প্রার্থী নির্বাচনে জয় লাভ করেছে।
২০০৮ সালে সেনা সরকারের সময় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য ৩০টি আসন জণসংখ্যার অজুহাত দেখিয়ে সূচনীয়ভাবে পরিবর্তন করা হয়। এমনকি কুমিল্লা-৯কে প্রথমে ২ ভাগ, আপত্তির পর আক্রোশবশতঃ ৩ ভাগ করা হয়। এরকমভাবে বাংলাদেশে ওই সময়ে কমপক্ষে ৩০টি আসন আক্রান্ত হয়। উচ্চ আদালতে কুমিল্লা-৯ আসনকে ৩ ভাগ করার বিরুদ্ধে রিট করার পর হাইকোট এই ভাবে আসন করাকে অবৈধ ঘোষনা করেন। পরবর্তী কমিশনগুলো ঠুটু জগন্নাথের মতো প্রতি বছরেই হাইকোর্টের রায়কে উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দেওয়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।
বর্তমান কমিশন জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সুষ্ঠু সীমানা নির্ধারনের জন্য কাজ করছে। এই লক্ষে সাবেক কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পৌরসভা, বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের (১৯-২৭) নম্বর ওয়ার্ড, লালমাই উপজেলা, সদর দক্ষিণ উপজেলা নিয়ে কুমিল্লা-৯ পুন:র্বহাল এবং ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে আগের ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৬ ও ২০০১ এর মত আসন ব্যবস্থা পুনঃবহাল করার দাবি জানান তিনি।