প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে মতলব উত্তরে সংবাদ সম্মেলন

ছবি : আওয়ার বাংলাদেশ
২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
চাঁদপুরের মতলব উত্তর সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আহছানুজ্জামানের বিরুদ্ধে কয়েকটি স্থানীয়, জাতীয় ও অনলাইন মিডিয়ায় ‘চাহিদাভিত্তিক সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে অনিয়ম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে ২৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় মতলব উত্তরের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সাথে তার কর্মস্থলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

উপদেশ দিবেন, আক্রমণ করবেন না : সেনাপ্রধান
মতলব উত্তর সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আহছানুজ্জামান বলেন, ‘চাহিদাভিত্তিক সাব-ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে’ প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর জন্য বরাদ্দ ৫৪০ টাকা। তন্মধ্যে ১৫% ভ্যাট কেটে থাকে ৪৮৬ টাকা। আমি সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং বিকেলের নাস্তা বাবদ ৩৮৬ টাকা ব্যয় করি। অবশিষ্ট ১০০ টাকা শিক্ষকদের যাতায়াত ভাড়া হিসেবে দিয়েছি। সকালের নাস্তায় প্রত্যেকে ১টি করে সিঙারা, পাটিসাফটা পিঠা, পেয়ারা ও চা দেই। দুপুরে বড়বক্সে মোরগ পোলাও, ডিম দেই। বিকালের নাস্তায় ১টি করে কলা, কেক, আপেল ও চা দেই। খাবারের ব্যাপারে কোনো শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। যে মূহুর্তে আমার অন্যত্র বদলি আদেশ এসেছে, সেসময় একটি কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে। যার বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। আমি উক্ত মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে (সাব-ক্লাস্টার ভেন্যু স্কুল) ১৪নং ইমামপুর সপ্রাবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাকসুদুর রহমানের সাথে আলাপকালে জানান, বরাদ্দকৃত ৫৪০ টাকার ১৫ % ভ্যাট কেটে ৪৮৬ টাকার মধ্যে ১০০ টাকা যাতায়াত হিসেবে শিক্ষকদের দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৮৬ টাকা তিনবেলা খাবারের জন্য ব্যয় করেন। সকালে সিঙ্গারা, পাটিসাফটা পিঠা, পেয়ারা ও চা দিয়েছেন। দুপুরে বড়বক্সে মোরগ পোলাও, ডিম। বিকালে কলা, কেক, আপেল ও চা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সরেজমিনে ২০নং ইমামপুর সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক সোহানা ইসলাম, ৩নং নবাবনগর সপ্রাবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহমিনা নিপু, ১৮৪ ছেংগারচর আহম্মদিয়া সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, কেশাইরকান্দি সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক তাহমিনা আক্তার এবং পাঁচগাছিয়া সপ্রাবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাকিলা আক্তার সাথে আলাপকালে তারা বলেন, আমাদের জন্য বরাদ্দ ছিলো ৫৪০ টাকা। তন্মধ্যে ১৫% ভ্যাট বাদ দিলে থাকে ৪৮৬ টাকা। যাতায়াত বাবদ ১০০ টাকা পেয়েছি। অবশিষ্ট ৩৮৬ টাকা তিনবেলা আমাদের মানসম্মত খাবার পরিবেশন করেন।