মিয়ানমারের ৪০ নাগরিককে ফেরত পাঠাল বাংলাদেশ

ছবি : সংগৃহীত
০৮ মে ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ ৪০ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এদের মধ্যে ৬ জন বেসামরিক নাগারিক রয়েছেন। বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশন শেষ করে একটি বিশেষ উড়োজাহাজে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। তবে ইতোপূর্বে যতবার মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশ, তখন মিয়ানমারের কারাগারে আটক বাংলাদেশিদেরও ফিরিয়ে দেওয়া হতো। এ দফায় মিয়ানমার থেকে কোনো বাংলাদেশি ফেরত আসেননি।

‘শহীদ জিয়ার প্রথম চট্টগ্রাম, শেষ চট্টগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বুধবার তাদের ফেরত পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ফেরত পাঠানো মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ১৩ জন সেনাসদস্য, ২১ জন বিজিপি সদস্য ও ৬ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক মো. গোলাম মোর্তজা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের একটি উড়োজাহাজ কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ওই উড়োজাহাজে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ৪০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমএম ইমরুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, মিয়ানমার থেকে আসা ৪০ জন এতদিন বিজিবির হেফাজতে ছিলেন। তাদের বুধবার দুপুরের পর মিয়ানমারের একটি বিমানে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইতঃপূর্বে ২০২৪ সালের ৯ জুন কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর উত্তর নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে ১৩৪ বিজিপি ও সেনাসদস্যকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে ফেরত পাঠানো হয়। একই বছর ২৫ এপ্রিল সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো হয় আরো ২৮৮ জনকে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠানো হয় ৩৩০ বিজিপি ও সেনাসদস্যকে। ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ১২৪ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবারের ৪০ জনসহ মোট ৯১৬ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো। তারা অধিকাংশই রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে নিয়োজিত ছিলেন।