গণমাধ্যমে ঈদের ছুটি কমপক্ষে ৫দিন ঘোষণার দাবি

ছবি : সংগৃহীত
২৫ মে ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
আসন্ন ঈদুল আজহায় গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও গণমাধ্যম-কর্মীদের জন্য কমপক্ষে ৫দিনের ছুটি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের দাবিতে তথ্য উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছে জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ। রোববার (২৫ মে) সংগঠনের পক্ষ থেকে সদস্যসচিব মো. মিয়া হোসেন স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে না : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্মারকলিপিতে বলা হয়, এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য ১০দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও গণমাধ্যম-কর্মীদের জন্য কমপক্ষে ৫দিনের ছুটি ঘোষণা করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। অন্যথায় সাংবাদিক কমিউনিটিতে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়বে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সাংবাদিকেরা দুই ঈদে ছুটি পেলেও দুর্গাপূজা, বড় দিন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমায় কোনো ছুটি দেওয়া হয় না। এমনকি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ছুটির দিনেও ছুটি পাওয়া যায় না। সেই সঙ্গে ছুটির দিনে কাজ করানোর পর বিশেষ মজুরিও দেওয়া হয় না। ছুটির ক্ষেত্রে এই বৈষম্য দূর হওয়া একান্ত আবশ্যক। সাংবাদিকদের ছুটির বিষয়ে সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত না থাকায় গণমাধ্যম মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন তাদের ইচ্ছেমাফিক ছুটি দেন এবং ছুটির দিনে বিশেষ ব্যবস্থার নামে কাজ করিয়ে যথাযথ পারিশ্রমিকও দেন না।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিকেরা সরকারি ছুটির দিনে মাত্র কয়েকদিন ছুটি ভোগ করে থাকেন। এর মধ্যে দুই ঈদে ৬ থেকে ৭ দিন, ১ বৈশাখ, ১ মে, ১২ রবিউল আউয়াল, ১০ মহররম (আশুরা) ও শবে বরাতের দিন। এছাড়া সংবাদপত্রে বিশেষ ব্যবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর এই তিন দিন ছুটি বাবদ নগদ মজুরি দেওয়া হয়। এর বাইরে সরকারি অন্যান্য ছুটির দিনে সাংবাদিকদের কোনো প্রকার ছুটি দেওয়া হয় না এবং ছুটির দিনে কাজ করার কোনো পারিশ্রমিকও দেওয়া হয় না।
এ অবস্থায় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের ছুটি ভোগের বিষয়ে বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে পবিত্র ঈদুল আজহায় কমপক্ষে ৫ দিনের ছুটিসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে গণমাধ্যমেও ছুটি ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে জারি করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ছুটির দিনে কোনো গণমাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থায় কাজ করানো হলে দ্বিগুণ মজুরি নগদে দেওয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে স্মারকলিপিতে।