ওয়েবসাইট থেকে ‘নৌকা’ সরাল ইসি

নিবন্ধন স্থগিত থাকায় দলটির প্রতীক বাতিলের সিদ্ধান্ত

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (নিবন্ধন স্থগিত) জন্য বরাদ্দকৃত ‘নৌকা’ প্রতীক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত দলটির নামের পাশে নৌকা প্রতীক দেখা গেলেও আজ বুধবার সকালে ওয়েবসাইটে আর এটি দেখা যায়নি।


আরও পাঁচ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ, টহল জোরদার

ইসি সচিবালয়ের সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক গণমাধ্যমকে জানান, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নৌকা প্রতীকটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’


স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গতকাল রাতে ফেসবুকে একটি পোস্টে ইসির সমালোচনা করে বলেন, ‘অভিশপ্ত ‘‘নৌকা’’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন?’

ইতোপূর্বে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ এ বিষয়ে বলেছিলেন, ‘প্রতীক কখনও নিষিদ্ধ হয় না। নৌকা প্রতীক তো একটা পার্টির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে; প্রতীক তো নির্বাচন কমিশনের। দলটির নামে যখন অ্যালটমেন্ট বা অ্যালোকেশন করা হয়েছে; দল তো বাতিল হয়নি। পার্টি তো আছে। পার্টি যদি বাতিলও হয়, প্রতীক তো বাতিল হবে না।’

বর্তমানে ইসির তফসিলভুক্ত ৬৯টি প্রতীকের মধ্যে ৫০টি রাজনৈতিক দলের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। অবশিষ্ট ১৯টি প্রতীক স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। জানা গেছে, নতুন তালিকা চূড়ান্ত হলে প্রতীকের সংখ্যা বেড়ে ১১৫টি হবে, যেখানে জামায়াতে ইসলামীর ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, নিবন্ধন স্থগিত থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নামে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ রাখার বিষয়টি বিতর্ক তৈরি করেছিল। ইসির এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক মহলে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লেখেন, অভিশপ্ত ‘নৌকা’ প্রতীকটি কোন বিবেচনায় পুনরায় তালিকাভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে? সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপনারা কি এই গণঅভ্যুত্থানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন? কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এই প্রতীক রাখা হচ্ছে?

তিনি আরও যোগ করেন, পরাজিতদের স্বপ্নের রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে তাদের প্রতীক ফিরিয়ে দিতে চান? একজন নাগরিক হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কাছে এ প্রশ্ন রইল।

পোস্টের মন্তব্যে আসিফ স্পষ্ট করেন, আমি সরকারি দায়িত্বে থেকে ইসিকে প্রশ্ন করছি না, একজন নাগরিক হিসেবে করছি। নির্বাচন কমিশন সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, তাই প্রশ্ন করার এখতিয়ার সবার আছে।