হালুয়াঘাট ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান’র পরিচালক মিঠুন রাকসাম

ছবি : সংগৃহীত

আমিন মুনশি

৩০ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৫ পিএম

ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার রাংরাপাড়ায় অবস্থিত ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন কবি ও সংস্কৃতিকর্মী মিঠুন রাকসাম। গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) তাঁকে নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।


ইজতেমা মাঠে চারজন নিহত হয়েছেন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব আবু সালেহ মোঃ মাহফুজুল আলম-এর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০ এর ধারা- ১১(২) অনুযায়ী মিঠুন রাকসামকে অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে ০২ (দুই) বছর মেয়াদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ-এর পরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। তা এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।’


উল্লেখ্য, মিঠুন রাকসাম গারো জাতিগোষ্ঠীর একজন কবি ও লেখক। তিনি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার দুধনই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

মিঠুন রাকসাম-এর গারো জাতিসত্তার খাদ্য ও পানীয় নিয়ে গবেষণাগ্রন্থ- ‘মান্দি জাতির পানীয় ও খাদ্য বৈচিত্র্য’ প্রকাশিত হয়েছে।

মিঠুন রাকসাম-এর প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে ‘মন্ত্রধ্বনি’ নামে। সর্বশেষ কবিতার বই ‘খেয়েই মরবো’ প্রকাশিত হয় ২০২৪ সালের অমর একুশে বইমেলায়।

এখন পর্যন্ত মিঠুন রাকসামের প্রকাশিত বই ১২টি। তার মধ্যে কবিতাগ্রন্থ ৮টি, গল্প ১টি, গবেষণাগ্রন্থ ১টি এবং সম্পাদিত গ্রন্থ ২টি।

মিঠুন রাকসাম সংস্কৃতিকর্মী এবং সংগঠক হিসেবে নিজ উদ্যোগে প্রথম ২০০৮ সালে এবং ধারাবাহিকভাবে ২০২১, ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে রাজধানীর কালাচাঁদপুরের শিশু মালঞ্চ স্কুল প্রাঙ্গণে ১ মাসব্যাপী ‘গারো বইমেলা’ আয়োজন করে আসছেন।