রোহিঙ্গাদের মাঝে সিম বিতরণ করছে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৬ আগস্ট ২০২৫, ০২:১৬ পিএম

রোহিঙ্গাদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখতে সরকার বৈধভাবে মোবাইল সিম বিতরণের পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রোগ্রেস আইডির ভিত্তিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী রোহিঙ্গারা এই সিম পাবে। নতুন সিম বিতরণের পর তাদের কাছে থাকা সব অবৈধ সিম বন্ধ করা হবে। আগামী ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময়ের মধ্যে বিশেষ সিরিজের ১০ হাজার সিম বরাদ্দ দেওয়া হবে।


কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের ৩৩টি ক্যাম্পে বসবাস করছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা গেছে, এসব ক্যাম্পে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মোবাইল ফোনে ৬-৭ লাখ দেশীয় সিম ব্যবহার করা হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় এসব সিম দিয়ে অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।


নিরাপত্তার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের বৈধভাবে সিম ব্যবহারের সুযোগ দিতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। এ নিয়ে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে ইতোমধ্যে দু’দফা বৈঠক হয়েছে। বিটিআরসি ও অপারেটর সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা নম্বর সিরিজ নির্ধারণ করা হবে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধন নম্বরের ভিত্তিতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের সিম দেওয়া হবে।

প্রতিটি সিমের খরচ বহন করবে ইউএনএইচসিআর বা সরকার। মোবাইল অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ অফার করবে। প্রধান উপদেষ্টার ক্যাম্প পরিদর্শনের আগেই প্রথম ধাপে ১০ হাজার সিম বিতরণের লক্ষ্য রয়েছে।

সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, ইউএনএইচসিআরের ডাটাবেজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত থাকবে। নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। তাদের মতে, এতে রোহিঙ্গাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা সহজ হবে, স্বচ্ছতা বাড়বে এবং অনেকেই বৈধভাবে সিম ব্যবহার করতে পারবে।

তবে নতুন সিম দেওয়ার পর বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া নেওয়া সব অবৈধ সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে রবি। প্রতিষ্ঠানটির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম বলেছেন, বর্তমানে সচল থাকা সিমগুলো প্রোগ্রেস আইডির বিপরীতে পুনরায় নিবন্ধন করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে রোহিঙ্গাদের টেলিটকের সিম দেওয়ার কথা ভাবা হলেও পরে তা আর আলোচনায় আসেনি।