বিএনপির সবুজ সংকেত পেয়েছেন আলহাজ নবী উল্লাহ নবী

ছবি : আওয়ার বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে বইছে সুবাতাস। ক্রমেই রাজপথে নামতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। ভোটের মাঠ গোছাতে প্রস্তুত হচ্ছে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্যরা। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত চলছে যোগ্য নেতা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। এরই মধ্যে অনেকেই পাচ্ছেন শীর্ষ নেতৃত্বের সবুজসংকেত। তেমনি একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির সাহসী ও মানবিক নেতা আলহাজ নবী উল্লাহ নবী। যিনি রাজধানীর ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী-ডেমরা) এলাকার মানুষের হৃদয়ে এক উজ্জ্বল বাতিঘর হয়ে আছেন।


১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য

সরেজমিনে দেখা যায়, আলহাজ নবী উল্লাহ নবীকে ঘিরে এই নির্বাচনী এলাকায় চলছে তুমুল জল্পনা-কল্পনা। বিলবোর্ড-ব্যানারে ছেয়ে গেছে পথঘাট। সাধারণ ভোটারদের কাছেও তিনি প্রার্থী হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।


জানা গেছে, ১৯৫৫ সালের ৩ জানুয়ারি দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর নবীনগরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া নবী উল্লাহ নবী শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন সত্যিকারের সমাজসেবক, সংগঠক, শিক্ষানুরাগী এবং গণমানুষের নেতা। তাঁর পিতা, মরহুম হাজী মোঃ সুরুজ্জামান ছিলেন এলাকাবাসীর প্রিয় মুখ — যিনি ৩৫ বছর বিডি মেম্বার হিসেবে দৃষ্টান্তমূলক সেবা দিয়ে গেছেন এবং বহু শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। পিতার সেই নৈতিকতাই নবী উল্লাহ নবীর পথচলার পাথেয় হয়ে ওঠে।

ছাত্রজীবন থেকেই নবী উল্লাহ নবী সামাজিক ও সাংগঠনিক কাজে যুক্ত ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, ১৯৭৮ সালে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সততা, নিরলস পরিশ্রম এবং দলের প্রতি একনিষ্ঠতা তাঁকে পরিণত করে তৃণমূলের একজন শক্তিশালী ও জনপ্রিয় নেতায়।

তিনি বৃহত্তর ডেমরা থানার যুবদলের সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন সুনামের সঙ্গে। তাঁর নেতৃত্বে যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাস্তবায়ন হয়েছে বহু গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প — রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, কমিউনিটি সেন্টার ইত্যাদিতে এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন।

১৯৯৪ সালে ৮৬নং ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে মানুষের ভালোবাসার স্বীকৃতি পান। এরপর ১৯৯৬ সালে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে নিজেকে প্রমাণ করেন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে একটি প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭০ হাজার ভোট পেয়ে জনতার নায়ক হয়ে ওঠেন — যা ছিল ঢাকা বিভাগের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্তি।

২৬৫টির বেশি মিথ্যা মামলা, বারবার কারাবরণ, প্রশাসনিক হয়রানি — কিছুই তাঁর মনোবল ভাঙতে পারেনি। তিনি সবসময় জনগণের পাশে থেকেছেন, থেকেছেন দলের প্রতি অবিচল।

পারিবারিকভাবেও তিনি একজন সফল পিতা — তিন কন্যা সন্তানকে সুপাত্রস্থ করে দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য — অবশিষ্ট সময়টুকু জনকল্যাণে উৎসর্গ করা।

একান্ত আলাপচারিতায় দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশকে আলহাজ নবী উল্লাহ নবী বলেন, “জনগণের ভালোবাসা আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। আমার কিছু চাওয়ার নেই, শুধু চাই যাত্রাবাড়ী-ডেমরার মানুষ যেন সুখে-শান্তিতে ও সম্মানে বাঁচতে পারে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি এই মানুষগুলোর সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই। ইতোমধ্যে শীর্ষপর্যায় থেকে আমাকে নমিনেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে সবুজসংকেত দেওয়া হয়েছে। আমি সবার দোয়া নিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ, সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।”

ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী-ডেমরা) আসনের সর্বস্তরের মানুষ তাঁর নেতৃত্বে আস্থা রাখে। তাঁকে ঘিরে একটাই আশা — আগামী দিনেও তিনি থাকবেন এলাকার উন্নয়ন, শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অগ্রনায়ক হয়ে।