আজ মহাসপ্তমী, মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বাদ্য-শঙ্খধ্বনি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম

শারদীয় দুর্গা উৎসবের সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মহাসপ্তমী। হিন্দু শাস্ত্রমতে, সপ্তমী পূজা দেবী দুর্গার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের দিন। 


আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে দলগুলোকে চিঠি দিচ্ছে ইসি

রবিবার ছিল ষষ্ঠী তিথি। এদিন বেলতলায় দেবীর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব। এখন মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে ষষ্ঠীপূজার সঙ্গে ঢাকের বাদ্য ও শঙ্খধ্বনি।


আজ ভোর থেকে কল্পারম্ভের মাধ্যমে শুরু হলো সপ্তমী পূজার আচার। কল্পারম্ভ মানে পূজার সূচনা। এর মাধ্যমে দেবী দুর্গার পূজা সুনির্দিষ্ট নিয়মে সম্পাদনের প্রতিশ্রুতি দেবেন পুরোহিত। তিনি ‘পঞ্চগব্য’, ‘পঞ্চশুদ্ধি’, ‘পঞ্চপ্রাণ’ এবং ‘পঞ্চঋষি’ মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে এই আচার সম্পন্ন করবেন। 

সপ্তমীর অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান হলো ‘নবপত্রিকা স্নান’। ভোরবেলা পুরোহিত কাছের কোনো জলাশয় থেকে ৯টি ভিন্ন প্রকার গাছের পাতা সংগ্রহ করেন। এগুলো হলো- কদলী (কলা), কচু, হলুদ, ধান, মান (কচু), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম) ও অশোক। নবপত্রিকাকে অনেক সময় ‘কলাবউ’ নামেও ডাকা হয়। নবপত্রিকাকে গঙ্গা বা পুকুরের জলে স্নান করিয়ে বস্ত্র পরিয়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে মণ্ডপে আনা হয়। এরপর দেবীমূর্তির ডান দিকে এটি স্থাপন করা হয়। নবপত্রিকা খাদ্যশস্য, স্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সমৃদ্ধির প্রতীক।

এরপর দেবী দুর্গার প্রতিমাকে শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী স্নান করানো হয়। পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ করে দেবীর মধ্যে দেবশক্তি আহ্বান করেন। দেবীকে দুধ, দই, ঘি, মধু ও চিনি দিয়ে অর্ঘ্য দেওয়া হয়। আজ সন্ধ্যায় হবে সপ্তমী হোম বা অগ্নিহোত্র। আগুনের মাধ্যমে দেবীর উদ্দেশ্যে আহুতি দেওয়া হয়। হোমকে শুদ্ধি ও পবিত্রতার প্রতীক মনে করা হয়।