ভয় দেখিয়ে ও বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের : ডিসি মাসুদ

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম

ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটি (প্রেসক্লাব) এলাকার সামনে অবস্থান করা শিক্ষকদের সরিয়ে দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ করা হয়েছে এবং তাদের বোঝা-ভীতি দেখিয়ে জায়গা ছাড়াতে বলা হয়েছে — এমনটাই জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। তিনি জানান, অধিকাংশ শিক্ষক ইতোমধ্যে চলে গেছেন, যান চলাচলও আনুমানিক স্বাভাবিক রয়েছে।


হতাহতের তথ্য গোপনের দাবি সঠিক নয় : প্রেস উইং

ডিসি বলেন, যারা সরতে অনীহা প্রকাশ করছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে; বর্তমানে তারা পুলিশের হেফাজতে আছেন।


তিনি জানান, নেতৃত্ববিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং শিক্ষকদের সম্মান রক্ষা করা হবে; কাউকে ধরে রাখার বা মামলা করার উদ্দেশ্য এখন নেই, বরং প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সড়কে মানুষের চলাচল স্বাভাব্য করা।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ২টায় প্রেসক্লাব এলাকায় এসব কথা বলেন তিনি। ডিসি বলেন, শিক্ষক প্রতিনিধিরা বাসা ভাড়া সংক্রান্ত একাধিক দাবি নিয়ে যোগাযোগ চেয়েছিলেন; সেইজন্য সরকারী পক্ষ থেকে ১০ জনের প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

আলোচনার পর কিছু প্রতিনিধিরা শহীদ মিনারে অবস্থান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

ডিসি মাসুদ আলম আরো জানান, আন্দোলনকারীদের একটি অংশ প্রেসক্লাবে ও আরেক অংশ শহীদ মিনারে অবস্থান নেওয়ার প্রবণতা দেখা গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিছুটা চাপ প্রয়োগ করা হয়।

“যারা কথা শুনেনি, তাদের কাছ থেকে সড়ক উদ্ধার করার উদ্দেশ্যে আমরা সময় দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি” — উল্লেখ করেন তিনি।

অর্থাৎ প্রেসক্লাবের সামনে অবরোধ থাকলে ঢাকা শহরের যাবতীয় কর্মকাণ্ড ব্যাহত হতে পারে—এই উদ্বেগ থেকেই পুলিশ কিছু দূরত্বে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আশপাশেরদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে, জানিয়েছে ডিসি।

এর আগে শিক্ষকদের পক্ষ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি ও দুটি অন্য দাবিতে আন্দোলন পরিচালনা করছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়; সেই সময় কিছু সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ এবং জলকামান ব্যবহারের ঘটনা ঘটে।