বগুড়ার শেরপুরে ছাত্রদলের সম্মেলনে ফারহান লাবিবের নেতৃত্বে মিছিল
বগুড়ার শেরপুরে দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত পৌর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ছবি : আওয়ার বাংলাদেশ
২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম
বগুড়া শেরপুর ছাত্রদলের সমাবেশে উদীয়মান ছাত্রনেতা এস এম ফারহান লাবিবের নেতৃত্বে বিশাল ছাত্রমিছিল শেষে সাংবাদিকদের সামনে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্য ও আদর্শ আমাদের। বিএনপির চেয়ারপারসন আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চৌকষ নেতৃত্ব ও বিএনিপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিকনির্দেশনা ও ৩১ দফা কর্মসূচি সামনে রেখে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পথচলা আগামীতে অব্যাহত থাকবে। দুই নয়নে শহিদ জিয়া অন্তরে খালেদা জিয়া স্বনির্ভর বাংলাদেশ আমাদের আগামী লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হবে সম্ভাবনাময় সরকারপ্রধান বিশ্বের নির্যাতিত, নিষ্পেষিত অর্ধমৃত জনাব তারেক রহমান আমাদের প্রেরণা।
বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়ার শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা অনার্স কলেজ প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতার নেতৃত্বে মিছিলসহ সমাবেশে যোগদান করার অংশে এস এম ফারহান লাবিবের মিছিলটি। তার নেতৃত্বে শত শত নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে পুরো এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রায় ১৯ কোটি মানুষের সোনালি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়া আমাদের লক্ষ্য। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় জেলা ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মী ছুটছেন মানুষের দ্বারে। উপস্থাপন করছেন প্রিয় নেতা আমাদের অহংকার গর্ব বগুড়ার কৃতিসন্তান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনা ছাত্রদলের আইন ও নীতি।
সমাবেশে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মতো প্রাপ্যতা আমাদের সেই সময়ে না থাকলেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের সামর্থ এখন আমাদের আছে।
বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সামস্ ইসলাম সাগর বলেন, ৫ আগস্ট ২০২৪ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন দেশছাড়া হওয়ায় ভেঙেপড়া আইনশৃঙ্খলা ও অনিরাপদ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে আমরা জাগ্রত।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামদুদুর রহমান সানজাদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু আশা সিদ্দিকি রাকিব, সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রজিবুল ইসলাম শাকিল, সরকারি শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হিরাসহ বগুড়া জেলা ও শেরপুর পৌর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিবুর রশিদ সন্ধান বলেন, “বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে যারা পরীক্ষিত সৈনিক ছিলেন, যারা দীর্ঘ ১৭ বছর খুনি শেখ হাসিনার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রাজপথে রক্ত, পরিশ্রম ও ঘামের মাধ্যমে দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের প্রতিটি আহ্বান বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন— সেই সাহসী কর্মীদের হাতেই আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতৃত্ব তুলে দেব। এখানে ৫ তারিখের পর কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান থাকবে না। যারা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর লড়ে গেছেন, গুম, খুন, মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন— তাদের নিয়েই ছাত্রদল সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে জাতির সামনে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। আমাদের সকলের দায়িত্ব, এই ৩১ দফা ঐক্যবদ্ধভাবে সকলের সামনে তুলে ধরা এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলা।আমাদের প্রিয় নেতা বাংলাদেশের যেখানে এবং যে আসনে যাকে মনোনয়ন দিবে, যে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পূর্ণ সমর্থন করে ধানের শীষকে বিজয়ী করে দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করবে।”
বক্তব্যের শেষাংশে তিনি কিছু রাজনৈতিক সংগঠনের ‘ধর্ম ব্যবসা’ নামক অপকর্মের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন এবং বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে ছিল এবং থাকবে। আমরা কারও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না, বরং দেশের প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা এবং অধিকার রক্ষায় কাজ করি।”
এ সময় শেরপুর পৌর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সভাপতির পদপ্রত্যাশী হিসেবে এস.এম ফারহান লাবিব সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর আয়োজিত এই প্রাণের সম্মেলনটি শেরপুরের ছাত্র রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা, ঐক্য ও সংগঠনের পুনর্জাগরণের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


