টিপসই গ্রহণকারী ফিরোজের অনিয়ম-দুর্নীতি দেখার কেউ নেই

এসএম ফজলুল হক (বিশেষ প্রতিবেদক)

১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম

বগুড়ার শেরপুর সাবরেজিস্ট্রারি অফিসের টিপসই গ্রহণকারী ফিরোজের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রকাশ করলেও দেখার যেন কেউ নেই। কোন খুঁটির বলে তার প্রকাশ্যে অনিয়ম-দুর্নীতি? সাবরেজিস্ট্রারি অফিসের অনিয়মিত স্টাফ মোঃ ফিরোজ, সাবরেজিস্ট্রারের সামনে বারান্দায় বসে ভূমির দাতা-গ্রহীতা উভয়ের কাছ থেকে ইচ্ছামাফিক টাকা আদায়ের ঘটনা। পদস্থ কর্মকর্তারা জানলেও রহস্যজনক কারণে নীরব। দেখেও না দেখার ভান করায় ক্ষুব্ধ সচেতন মানুষ। টিপসই ও দলিল প্রাপ্তির রশিদ প্রদানের সময় ভূমির যতগুলো দাতা বা গ্রহীতা হোক সবার কাছ থেকে ইচ্ছামাফিক আদায় করা টাকায় বহুতলবিশিষ্ট বিলাসবহুল অট্টালিকা করছে।


‘গাঁজাখোর’ বলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা

নিম্নে ১শ টাকা থেকে শুরু করে উপরে হাজার হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রকাশ্যে অনিয়ম-দুর্নীতি ঢেকে রাখতে গ্রহণ করে বিভিন্ন কৌশল। কোন খাতের টাকা আদায় করছে কেউ জানতে চাইলে বলেন, ‘এ টাকা থেকে কিছু টাকা মসজিদে দেয়, অফিসের জন্য কিছু খরচ, তারপর আমার জন্য রাখি।’


অভিযুক্ত ফিরোজের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে স্থানীয় ও একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বগুড়া জেলা রেজিষ্টার মোঃ সিরাজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানালেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো স্ব-স্থানে পূর্বের চেয়ে গতি বাড়িয়ে দিয়েছে অনিয়ম-দুর্নীতির।

জমির ক্রেতা-বিক্রেতা দু’পক্ষের প্রতিজনের কাছে সর্বনিম্ন ১শ টাকা থেকে শুরু, উপরে হাজার হাজার টাকা পর্যন্ত। বড় অংকের টাকা আদায়ের জন্য গ্রহণ করেছে ভিন্ন এক কৌশল। দলিলের ক্রমিক নং লেখার সময় মনযোগ দিয়ে সন্ধান করে কোন অক্ষর বা দাগ ভুল ধরার জন্য। ত্রুটি দেখার পর শুরু হয় দরদাম। ভূমির দাতা-গৃহীতা উভয়কে শোষণ করছে প্রকাশ্যে। এসব বিষয়ে মোঃ ফিরোজের কাছে জানতে তার মুঠোফোন নাম্বার ০১৭১২-৫৯৩৬৯১ যোগাযোগ করলে বলেন, ‘আমার মতো আরো অনেকে টাকা নিয়ে থাকে। আমি অনিয়মিত স্টাফ। অতিসামান্য টাকা পাই, তা দিয়ে কি হয়?’

এ ব্যাপারে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশ গত ১১ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে বগুড়া জেলা রেজিষ্টার সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘এই অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ জেলা রেজিষ্টার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন সচেতন মানুষ বিশ্বাস করলেও বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা।

উল্লেখ্য, সাবরেজিষ্টারি অফিসের টিপসই গ্রহণ ও দলিলের প্রাপ্তি রশিদ প্রদানকারী মোঃ ফিরোজ শেরপুর পৌর শহরের খন্দকার পাড়া এলাকায় বহুতল ভবন তৈরি করেছেন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে।

বগুড়ার শেরপুর সাবরেজিষ্টারি অফিসের টিপসই গ্রহণ এবং দলিল প্রাপ্তির রশিদ প্রদানকারী মোঃ ফিরোজের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মহানিবন্ধক (আইজিআর)-এর মতামত জানতে যোগাযোগ করা হলে অফিস থেকে জানানো হয়, ‘এ ব্যাপারে স্যার পরে কথা বলবে।’