১১ দফা দাবিতে কুমিল্লা টাউন হলে সমাবেশ

ছবি : আওয়ার বাংলাদেশ

সারাদেশ ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্র হত্যা করেছেন। তিনি আইন-আদালত সবকিছু তছনছ করে গেছেন। পরিণতিতে ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটে। এরপরই রাজনীতির মাঠে আলো ছড়াতে এসেছিলেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি পল্লিবিদ্যুৎ সৃষ্টি করেছেন। শিল্প-কারখানা বৃদ্ধি করেছেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারী-পুরুষ সবাইকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন। তাই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কাছে তাকে জীবন পর্যন্ত দিতে হয়েছে।’


বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর গুলি

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা টাউন হল মাঠে আয়োজিত ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘কুমিল্লা সমাবেশে’ এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেল ৩টায় ঐক্য সংহতি পরিষদ, কুমিল্লা বাঁচাও এবং সচেতন রাজনৈতিক ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত অতি জরুরি সংস্কারপূর্বক অবিলম্বে নির্বাচিত সরকারের প্রত্যয়ে আয়োজিত কুমিল্লা সমাবেশ শুরু হয়।


এসময় ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, ‘কুমিল্লার ৯ আসন জনগণের প্রতিনিধিত্ব চায়। জনতার ক্ষমতা আনতে হলে কুমিল্লার বিস্তৃত মানচিত্রে আমাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমাদের হাত ধরে কুমিল্লা আবার জেগে উঠবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই টাউন হল মাঠে ১৬ বছর কাউকে কথা বলতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। এ দেশের মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হত্যা করে রক্তের সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছে তারা। যারা কুমিল্লা শহরকে জল্লাদখানা বানিয়েছে সেই জল্লাদরা আজ কোথায় আমি জানতে চাই।’

হাসিনার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ইলেকশন দিলেন, সেই ইলেকশনে ১৫৩টি সিট পার্লামেন্টে আগেই পাশ করে ফেলল! বাকি সিটে কোনো ইলেকশন হলো না। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাসিনা ক্ষমতায় বসে গেল পাঁচ বছরের জন্য। আন্দোলন-সংগ্রাম হলো, ইলিয়াস আলীর মতো নেতারা গুম হয়ে গেলেন, শত শত নেতাকর্মী গুলি খেয়ে মারা গেলেন।’

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে জাতীয় নির্বাচন দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সঠিক সময়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। বাংলাদেশের মানুষ একটি কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে।’ তিনি কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা, কুমিল্লা ৯ সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহাল, কুমিল্লা বিমানবন্দর চালুসহ ১১ দফা দাবি উত্থাপন করেন এবং পরবর্তী কর্মসূচি- কুমিল্লা ৯ সংসদীয় নির্বাচন এলাকা পুনর্বহালের দাবিতে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি লংমার্চ টু ঢাকা ঘোষণা করেন।

সাবেক কাউন্সিলর খলিলুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর দক্ষিণ থানা বিএনপির আহবায়ক মোঃ হানিফ, কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোতালেব হোসেন, কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের অন্যতম নেতা সাহিদুর রহমান তামান্না। কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের সহ-সভাপতি এডভোকেট নাজমুস শাহাদাত। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) কুমিল্লা জেলার সভাপতি ওবায়দুল করিম মোহন, লালমাই উপজেলা বিএনপির ইউছুফ আলী মীর পিন্টু, সচেতন রাজনৈতিক ফোরামের আব্দুর রহমান, আমান উল্লাহ আমান, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওমর ফারুক চৌধুরী, লালমাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাসুদ করিম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা মুজাহিদ চৌধুরী, কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের নেতা শাহাজাহান মজুমদার, আহসান হাবীব দুলাল, এডভোকেট সোহরাব হোসেন পলাশ প্রমুখ।

সাংবাদিক
বিএনপি