দুদকের মামলায় জোবাইদা রহমানের জামিন

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৪ মে ২০২৫, ১২:৫১ পিএম

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে আপিল শুনানি পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


কোন পথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ?

দেড় বছরের বেশি সময় আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর ও জোবাইদা রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। বিএনপির কোনো পর্যায়ের রাজনীতিতে না থাকা জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে তখন প্রথম কোনো ফৌজদারি মামলার রায়ে সাজা হয়। গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২২ সেপ্টেম্বর জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।


ওয়ান ইলেভেনের পটভূমিতে স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনে যান জোবাইদা রহমান। ১৭ বছর তিনি সেখানেই ছিলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ৬ মে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা রহমান। আদালতে জোবাইদা রহমানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী কায়সার কামাল।

অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আপিল করতে বিলম্ব মার্জনা চেয়েছিলাম। আদালত আপিলের অনুমতি দিয়ে সেটি মঞ্জুর করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আপিলের শুনানিতে আমরা তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর খালাস চাইব। কেননা আওয়ামী লীগের আমলে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আদালতকে ব্যবহার করে দু’জনকে এ সাজা দেওয়া হয়েছিল।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করে দুদক। তাতে তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তারেকের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ সংশ্লিষ্ট আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। হাইকোর্টের আদেশে এ মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ থাকার পর ২০২২ সালে মামলাটি সচলের উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার।

২০১৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত এক রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তাকে সহযোগিতা করার অভিযোগে জোবাইদাকে তিন বছর কারাদণ্ডাদেশ দেয়।