নির্বাচন নিয়ে ভিতরে ভিতরে ষড়যন্ত্র চলছে : রিজভী

ছবি : সংগৃহীত
১৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভোট কেন্দ্র আবার ভোটারের পদধ্বনিতে মুখরিত হবে। এইটা চাই। তার জন্যই এত কিছু। তাহলে ভোট কেন পেছাবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা উঠেছে কেন? এটা তো আজকে গোটা জাতির প্রশ্ন। তাহলে নিশ্চয় ভিতরে ভিতরে অত্যন্ত গভীরে কোন গভীর ষড়যন্ত্র চলছে ; এইটা তো এইটা তো হতে পারে না।

চক্রান্তের খেলা চলছে : ফখরুল
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ তিনি এ অভিযোগ করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং স্লোগান দেয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করে কৃষকদল।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, আমরা বলেছি, সংস্কার চাই । যৌক্তিক সময় নির্বাচন দিন একটা নির্দিষ্ট সময় বলে দিন ,বেশি প্রলম্বিত করবেন না। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনুস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হল; বৈঠক থেকে একটা যৌথ বিবৃতি আসলো। দেশের মানুষ স্বস্তির মধ্যে পড়ল কিন্তু এই স্বস্তি আমার মনে হয় কেউ কেউ চাচ্ছেন না। তারপরেই সারাদেশে শুরু হল সংঘাত রক্তাক্ত পরিস্থিতি! কেন- প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মিটফোর্ডে এ ঘটনায় সাথে সাথে বিএনপি নিন্দা জানিয়েছে, এটার সাথে জড়িত তাদেরকে আজীবন বহিষ্কার তাই করেছে। সাথে সাথে চেয়ারম্যানের বিবৃতি মহাসচিবের বিবৃতিসহ নিন্দা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে তারা যেখানেই থাকুক যে অবস্থায় থাকুক।
'নারায়ণগঞ্জের মাফিয়া গডফাদার আর কক্সবাজারে গডফাদারের জন্য শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে তাদের পক্ষে কথা বলতেন। আর দলের নামে কেউ যদি চাদাবাজি করেছে, কেউ যদি অন্যায় করেছে, তাহলে সাংগঠনিক শাস্তি ব্যবস্থা হচ্ছে- কেউ বহিষ্কার হচ্ছেন, কারো পদ স্থগতি হচ্ছে অথবা আমরা নিজেরাই পুলিশকে বলছি, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে অথবা নিজেরাও মামলা দিচ্ছে - এটাই তো তারেক রহমান। আর মিটফোর্ডের ঘটনায় কেন তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিচ্ছেন - প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই মুখপাত্র।
রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছয়- সাত বছর ভয়ঙ্কর নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরের মধ্যে যেখানে নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না; সেই ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখলো শেখ হাসিনা । গোটা জাতি যার প্রতি সহানুভূতিশীল, অথচ তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কথা বলছেন!
তিনি বলেন, তারেক রহমানকে ছাদের ওপর থেকে ফেলে দিল, কোমর ভেঙ্গে ফেলা হয় এক এগারো সময়। নিপীড়িত নির্যাতনের এক প্রতীক হচ্ছে তারেক রহমান । তার বিরুদ্ধে মিছিল ও ফেসবুকে সামাজিক গণমাধ্যমে বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করে আজেবাজে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলা হচ্ছে; তাহলে খুলনায় বিএনপির একজন যুবককে গুলি করে তার পায়ের রগ কেটে দিলো এবং কক্সবাজারে বিএনপি কর্মী আব্দুর রহিমকে হত্যা করল জামায়াত। সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে না কেন?
সবসময় যে কোন হত্যাকাণ্ড রক্তপাত হলে সরকারকে অভিযোগ করে এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আইন শৃঙ্খলার জন্য দায় দায়িত্ব সরকারের অথচ তাকে কিছু বললেন না, প্রশাসনকে কিছু বললেন না। মিছিল করছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, যিনি ১৭-১৮ বছর লন্ডনে রয়েছেন। যিনি নিজেই শেখ হাসিনার নিপীড়িন - নির্যাতনের শিকার।
'ছয় -সাত বছরের নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্রের বিজয়কে নিশ্চিত করেছেন তারেক রহমান ' জানিয়ে রিজভী বলেন, সাহস আর আত্মবিশ্বাসের প্রতীক তারেক রহমান।