পিআর চালু হলে প্রতিটি ভোটের সঠিক মূল্যায়ন হবে : চরমোনাই পীর

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেছেন, আমরা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন পদ্ধতির (পিআর) প্রস্তাব করেছি। এ পদ্ধতি চালু হলে প্রতিটি ভোটের সঠিক মূল্যায়ন হবে, সব দলের সংসদে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ তৈরি হবে। ফ্যাসিবাদী রাজনীতি কমে যাবে। এমপিরা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন, এলাকায় গিয়ে প্রভাব বিস্তার বা চাঁদাবাজি করবেন না। আমাদের এই প্রস্তাবকে যারা তুচ্ছ মনে করছে, তারা আসলে দেশের ভালো চায় না, কেবল নিজেদের স্বার্থকে বড় করে দেখে।


নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ, তারুণ্যের ঢল

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত ‘কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় রাসুলের (সা.) শিক্ষা’ শীর্ষক সিরাত কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর ভারতের মিডিয়ায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে যখন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার হচ্ছিল, তখন ইসলামী নীতি-আদর্শে বিশ্বাসীরাই তাদের জানমাল, ইজ্জত ও উপাসনালয় রক্ষায় পাহারার দায়িত্ব নিয়েছিল। প্রশাসনিক ব্যবস্থা থমকে গেলে তারাই রাস্তায় নেমে ট্রাফিক সামলেছিল। এটিই আমাদের আদর্শের বাস্তবতা। অথচ গতানুগতিক রাজনৈতিক দলগুলো তখন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, কেস বাণিজ্য আর নিজেদের মধ্যে খুনোখুনিতে ব্যস্ত ছিল। তারা দেশের স্বার্থ নয়, নিজেদের স্বার্থকেই বড় করে দেখেছে।

বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবিতে মুফতি রেজাউল করিম বলেন, ৫৩ বছর ধরে আমরা প্রহসনের নির্বাচন দেখে আসছি। দিনের ভোট রাতে বাক্সবন্দি, কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক জয় ছিনিয়ে নেওয়া— এই সংস্কৃতি আমরা আর চাই না। এই পদ্ধতি বহু মায়ের বুক খালি করেছে, বহু জীবন পঙ্গু করেছে।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের রাজনীতি কোনও মন্ত্রিত্ব-এমপিত্বের জন্য নয়। আমাদের লক্ষ্য– বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা, আর সেই কল্যাণ রাষ্ট্রের নীতি হলো ইসলাম।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কথা বলা হচ্ছে। বলা হয়, আমরা নাকি হঠাৎ কোথা থেকে এলাম। অথচ গত ১৫ বছরে আমাদের একজন এমপিও সংসদে যাননি। এর মানে এই নয়, আমাদের সুযোগ ছিল না। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি– সবাই আমাদের ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ আমাদের লক্ষ্য, এমপি-মন্ত্রী হওয়া নয়, বরং দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা।