নিবন্ধন পাচ্ছে এনসিপি-জাতীয় লীগ

ছবি : সংগৃহীত
০১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ। নিবন্ধনযোগ্য এ দুটি দলের বিষয়ে কারো কোনো আপত্তি আছে কি-না জানতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসিতে জামায়াতের ২৩ প্রস্তাব
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন শর্ত পূরণ করেছে। এখন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। এনসিপি কি প্রতীক নেবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে ইসিকে দেবে। তারপর যে প্রতীক বলবে এনসিপির নামে বিজ্ঞপ্তি দেবে।
এননিপির চাওয়া প্রতীক তালিকায় না থাকায় দলটিকে ইতোমধ্যে শাপলা প্রতীক পাবে না বলে আগেই জানানো হয়েছে। এবার ২২টি দল সরেজমিন তদন্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুটির নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত হলো।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি থাকতে হবে। প্রতিটি কমিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণও থাকতে হয়। নিবন্ধন পেলে এসব দল ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
ইসি সচিব জানান, দুটি দল নিবন্ধন পেল প্রাথমিকভাবে। অধিকতর পর্যালোচনা লাগবে ৩টি দল। অধিকতর তথ্যানুসন্ধান হবে নয়টি দল আর বাদ পড়েছে সাতটি দল। আর একটি দল আদালতের আদেশে নিবন্ধন পাবে।
তিনি জানান, আরও যাচাই করা হবে তিন দলের। এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (শাহজাহান সিরাজ)। এছাড়া ৯ দলের আরও তথ্যানুসন্ধান করা হবে। দলগুলো হচ্ছে আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল মার্কসবাদী, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ।
অন্যদিকে সাতটি দল যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছে। দলগুলো হচ্ছে- ফরওয়ার্ড পার্টি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী-সিপিবিএম, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ, বাংলাদেশ সলিউশন পার্টি, নতুন বাংলাদেশ পার্টি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলামী পার্টি। এছাড়া বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টি আদালতের আদেশে নিবন্ধন পাবে।
প্রাথমিক বাছাইয়ের পর সরেজমিন তদন্ত হওয়া ২২ দল হচ্ছে- ফরওয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)–সিপিবি (এম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ–শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সল্যুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।
কোনো দলকে ভোটে অংশ নিতে ইসির নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়।


