বাংলাদেশ টিমে খেলতে পারবেন না সাকিব : ক্রীড়া উপদেষ্টা

ছবি : সংগৃহীত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম

সাকিব আল হাসানকে আর বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না, এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। সোমবার রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে এ কথা জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।


আফগানদের কাছে সিরিজ হার বাংলাদেশের

সাকিবের এক ফেসবুক পোস্টের জেরে আসিফ মাহমুদের সঙ্গে দুই দিন ধরে ক্রীড়া উপদেষ্টা পাল্টাপাল্টি ভার্চ্যুয়াল লড়াই চলছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে চলছে তীব্র বিতর্ক। এর মধ্যেই নিজের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।


তিনি বলেছেন, ‘তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের জার্সির পরিচয় বহন করতে দেওয়া, এটা আমার পক্ষে কোনোভাবেই সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব না। ইতিপূর্বে এটা আমি বিসিবিকে না বললেও এখন আমার বোর্ডের প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে, সাকিব আল হাসান আর কখনো বাংলাদেশ টিমে খেলতে পারবেন না।’

কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন আসিফ মাহমুদ, ‘'যতবার তিনি (সাকিব) দেশে আসার জন্য চেয়েছেন, খেলার জন্য চেয়েছেন, বলেছেন 'আমাকে জোর করে নমিনেশন (২০২৪ সংসদ নির্বাচনে) দেওয়া হয়েছে। আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। আমি শুধু এমপি ইলেকশনটা করেছি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি।” কিন্তু আসল সত্যটা তো হচ্ছে, তিনি আসলে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠেভাবে জড়িত, যার প্রমাণ আমরা পেলাম।''

রবিবার রাতে সাকিবের একটা ফেসবুক পোস্ট থেকে চলমান বিতর্কের সূত্রপাত। সেই পোস্টে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের সময় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজের একটা ছবি দিয়ে সাকিব লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন, আপা।’

এর কিছুক্ষণ পরই ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দেন, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। এন্ড অব দা ডিসকাশন।’

এর জবাবে সেই রাতেই সাকিব নিজের ফেসবুকে লিখেন, ‘যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তাঁর জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না!’

এর জবাবে সোমবার বিকেলে আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে আবার লিখেন, ‘ভাইয়া, আমাকে জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম, আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতিতে জড়িত হইনি। ইউ নো হু। যার হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত, তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বোর্ডের কর্তারা একাধিকবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বললেও তা না করে বরং খুনিদের এনডোর্স করা ছাড়াও শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, মানি লন্ডারিং, ফিন্যান্সিয়াল ফ্রড করা কাউকে কেন শুধু ভালো ক্রিকেটার বলেই পুনর্বাসন করতে হবে? আইন সবার জন্য সমান, ফেস ইট।’

সাকিব আল হাসান গতবছর সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন বাংলাদেশের হয়ে। তিনি মিরপুরে টেস্ট খেলে অবসর নিতে চেয়েছিলেন।