ফিক্সিং ঠেকাতে থাকবে সিআইডি

আসন্ন বিপিএলে ফিক্সিংয়ের মতো গুরুতর দুর্নীতি ঠেকাতে এবার বেশ জোর তদারকির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে। সবশেষ বিপিএলে ফিক্সিংয়ে সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকার কারণে এনামুল হক বিজয় ও মোসাদ্দেক হোসেনসহ ৭ ক্রিকেটারকে নিলাম থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছে এবার। আর ভবিষ্যতে যেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দুর্নীতি না ঢুকে পড়ে, সেজন্য নতুন আরও এক পদক্ষেপ নিয়েছে বিসিবি।

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

আগামী আসরে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ক্রিমিন্যাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) সদস্য নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। এ জন্য সিআইডির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।


চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, সাগরিকার হ্যাট্রিকসহ ৪ গোল

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিপিএলের নিলাম শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান তিনি।


বিপিএলের দলগুলোর সঙ্গে সিআইডি নিযুক্তের ব্যাপারে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, খেলার ইন্টেগ্রিটির জন্য আমরা নতুন একটা উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের ইন্টেগ্রিটি দল তো থাকবেই, বাংলাদেশ পুলিশের যে সিআইডি বিভাগ আছে, তাদের সঙ্গে একটা এমওইউ করছি। সিআইডির দুজন অফিসার- একজন পোশাকধারী, অন্যজন সাদা পোশাকে প্রতিটি দলের সঙ্গে থাকবেন।

ফিক্সিং প্রতিরোধে সিআইডির সক্ষমতা নিয়ে বিসিবি সহসভাপতি বলেন, সিআইডি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে (উন্নত) ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট। তাদের কাছে আধুনিক সব প্রযুক্তি আছে। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের কথাও তারা দেখতে পারে। তাদের সব ধরনের যন্ত্রপাতি মজুদ আছে। ফলে আমরা সরকারের সঙ্গে (কাজ করতে) যাচ্ছি। আর এখানে আমাদের স্বচ্ছতা ও খেলার স্বচ্ছতা। পাশাপাশি আপনাদের এটাও বোঝানো যে আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ ডিসেম্বর সিলেটে পর্দা উঠবে বিপিএলের ১২তম আসরের। এর আগে ২৪ ডিসেম্বর মিরপুরে হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আর ২৩ জানুয়ারি শিরোপার লড়াই দিয়ে পর্দা নামবে এই চার-ছক্কার টুর্নামেন্টের।