বিপিএলে এবার নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম

মশা মারতে কামান দাগানোর মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফিক্সিং থামাতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে সিআইডি! বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন ক্রিকেটারদের নিলাম শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। ক্রিকেট মাঠে, হোটেলে সিআইডি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ৩০ নভেম্বর বুলবুল নিজেই এ তথ্য দেন।


বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের সূচি প্রকাশ

ক্রিকেটে জুয়া ঠেকাতে কোথাও সিআইডি নিয়োগ দেওয়ার নজির আছে কিনা, জানা নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে যাচ্ছে বিপিএলের দ্বাদশ আসরে। বিশেষ পোশাক ও সাদা পোশাকে ক্রিকেট মাঠে সিআইডি সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। বিসিবির একজন পরিচালক জানান, ক্রিকেটারদের ভয় দেখাতে এ উদ্যোগ নেওয়া।


বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু বেশ কয়েকটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ফিক্সিং প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ‘ইন্টেগ্রিটি টিম’ নিয়োগ দেওয়া হবে। বিসিবি ইন্টেগ্রিটি বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স মার্শালের নেতৃত্বেও থাকছেন দেশের অ্যান্টিকরাপশন ইউনিটের (এসিইউ) কর্মকর্তারা। প্রতিটি দলের সঙ্গে একজন করে এসিইউ কর্মকর্তা রাখা হয় আগে থেকেই। তবে এসিইউ কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বিসিবির নিয়োগকৃত এসিইউ কর্মকর্তার খরচ (হোটেল, ডিএ) বহন করে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এই প্রক্রিয়া নিয়ে বছরের পর বছর সমালোচনা হলেও বিসিবির সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এবারও সেই প্রক্রিয়ায় হাঁটতে চাচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একটি সূত্র জানায়, খরচের কথা ভেবে আগের নিয়ম বহাল রাখতে চাচ্ছে বোর্ড। যদিও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার বলছেন, ‘প্রতিটি দলের সঙ্গে যে এসিইউ সদস্য থাকবে, তাদের খরচ বহন করবে বিসিবি। কোনোভাবেই আগের নিয়মে থাকা যাবে না। আগের নিয়মে থাকলে তারা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের লোক হয়ে যাবে।’

আইসিসি-বিসিবির ইন্টেগ্রিটি সদস্যরা থাকার পরও সিআইডি সদস্যদের নিয়োগকে বাড়াবাড়ি বলছেন অনেকে। ক্রিকেটারদের একটি অংশ মনে করে, ফিক্সিং ঠেকানোর নামে বাড়াবাড়ি হলে খেলার পরিবেশ খারাপ হতে পারে।

সিআইডি সদস্যদের কোন প্রক্রিয়ায় রাখা হবে– জানতে চাওয়া হলে ইফতেখার রহমান বলেন, ‘তাদের কাজের পরিধি ঠিক করে দেওয়া হবে। হোটেলে বা মাঠের ভেতরে থাকবে কিনা সমন্বয় করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এবার টিম হোটেলে অপরিচিত লোকের প্রবেশে কড়াকড়ি করা হতে পারে বলে জানা গেছে। বিসিবির এই উদ্যোগ শেষে ‘ফস্কা’ গেরোর মতো হয়ে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।