চাঁদের দুই দিক দেখতে দুই রকম কেন

ছবি : সংগৃহীত
১৯ মে ২০২৫, ১১:১৮ এএম
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সঙ্গে সঙ্গে নিজের অক্ষে আবর্তন করে চাঁদ। দুটি আবর্তন একই সঙ্গে হওয়ায় আমরা সব সময়ই চাঁদের একটি পাশ শুধু দেখে আসছি।

হাজিদের জন্য এলো ‘লাব্বায়েক’ অ্যাপ
বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদ নিজ অক্ষের চারপাশে একবার ঘুরতে প্রায় ২৭ দশমিক তিনদিন সময় নেয়। একই সময়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতেও প্রায় একই সময় প্রয়োজন হয় চাঁদের। অর্থাৎ দুটি ঘূর্ণনের সময়কাল প্রায় মিলে যাওয়ার কারণেই পৃথিবী থেকে চাঁদের শুধু এক পাশের ছবি দেখা যায়।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, কোটি কোটি বছর আগে যখন চাঁদের বয়স কম ছিল, তখন এটি নিজের অক্ষের দ্রুতগতিতে আবর্তন করত। শক্তিশালী মহাকর্ষীয় টানের মাধ্যমে পৃথিবী তখন চাঁদের ওপর জোয়ার-ভাটার প্রভাব সৃষ্টি করত। পৃথিবীর মহাকর্ষণ শক্তি চাঁদের কঠিন অংশে তেমন প্রভাব ফেলতে না পারলেও তরল ম্যাগমা বা আংশিক গলিত অংশে প্রবল আলোড়ন তৈরি করত। এই জোয়ার-ভাটার ঘর্ষণের ফলে চাঁদের ঘূর্ণনের গতি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। পরে চাঁদের আবর্তনের গতি কমে প্রদক্ষিণ গতির সঙ্গে মিলে যায়। এ কারণেই চাঁদের এক পাশ সব সময় পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকে।
১৯৬০ সালে লুনা–৩ মহাকাশযান প্রথম পৃথিবীর বিপরীত দিকে থাকা চাঁদের ছবি তুলতে সক্ষম হয়। স্থানটি চাঁদের অন্ধকার দিক নামে পরিচিত। ছবিতে দেখা যায়, সেখানে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত ও উঁচু পর্বতমালা রয়েছে। পৃথিবী থেকে পাঠানো কোনো তরঙ্গ চাঁদের সেই অংশে পৌঁছাতে পারে না।
পৃথিবী থেকে চাঁদের যে অংশ দেখা যায়, বৃহৎ ও অন্ধকার সমভূমির প্রাধান্য রয়েছে, যা প্রাচীন আগ্নেয়গিরির মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। মেয়ার নামের এই সমভূমি নিকটবর্তী অংশের পৃষ্ঠের প্রায় ৩১ শতাংশ জুড়ে বিস্তৃত ও ব্যাসাল্টিক উপাদানে সমৃদ্ধ। অন্যদিকে পেছনের অংশে প্রচুর পরিমাণে গর্ত রয়েছে। এর ফলে চাঁদের দুই দিক দেখতে দুই রকম।