ফেসবুকের প্রোফাইলে ফিরল ‘পোক’ বাটন

ছবি : সংগৃহীত

প্রযুক্তি ডেস্ক

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম

ফেসবুকের শুরুর দিকের জনপ্রিয় ছিল ‘পোক’ ফিচারটি। সময়ের সঙ্গে এটি প্রায় অপ্রচলিত হয়ে গেলেও সম্প্রতি তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে পোকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলে, ফেসবুক এখন এই পুরোনো ফিচারটিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে সামনে আনছে।


ফ্যাক্ট চেকিং শিখে ফেলুন সহজেই

এখন ব্যবহারকারীরা সরাসরি বন্ধুদের প্রোফাইল থেকে একটি নতুন পোক বোতাম ব্যবহার করে পোক দিতে পারবেন। পোক পাওয়ার পর প্রাপক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তা জানতে পারবেন।


এ ছাড়া, ব্যবহারকারীরা এখন facebook.com/pokes-এ গিয়ে কে, কাকে পোক দিয়েছে, তা দেখতে পাবেন এবং বন্ধুর তালিকা থেকে নতুন করে পোক দিতে পারবেন। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট পেজে গিয়ে ‘পোক কাউন্ট’ দেখা যাবে। অর্থাৎ প্রতিবার পোক করার সঙ্গে সঙ্গে এর সংখ্যাও বাড়তে থাকবে। এ ছাড়া কে, কাকে পোক করেছে, মোট কতবার করছে, তা-ও দেখা যাবে। চাইলে ব্যবহারকারী কোনো পোক এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে।

এই পোক কাউন্ট মূলত তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্য করেই তৈরি, যারা স্ন্যাপচ্যাট ও টিকটকের মতো অ্যাপে গ্যামিফিকেশন ফিচারে অভ্যস্ত। এসব অ্যাপে যেমন ‘স্ট্রাইকস’ থাকে, যেখানে প্রতিদিন যোগাযোগ ধরে রাখার মাধ্যমে বন্ধুত্বের গভীরতা মাপা হয়। ঠিক তেমনই পোক কাউন্টেও বন্ধুদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সম্পর্কের ‘গভীরতা’ বোঝানো হবে।


২০২৪ সালের মার্চে ফেসবুক পোককে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছিল। তখন তারা পোক পেজ খোঁজা সহজ করে এবং বন্ধুর নাম সার্চ করার পর সরাসরি পোক দেওয়ার অপশন চালু করেছিল। মেটার দাবি, এসব ছোট পরিবর্তনের পর এক মাসের মধ্যেই পোক করা ১৩ গুণ বেড়ে গিয়েছিল। তবে পোক আসলে কেন ব্যবহার করা হয়, সে বিষয়ে ফেসবুক কখনোই কোনো নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি। কারও মনোযোগ কাড়তে, মজা করতে, বা কখনো স্রেফ বিরক্ত করতেও পোক ব্যবহার করা হতে পারে।

এই পোক ফিচার জনপ্রিয় হবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে মেটা স্পষ্টভাবেই বোঝাচ্ছে, তারা ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয় রাখতে নতুন কৌশল নিচ্ছে।

‘দ্য অ্যাংজিয়াস জেনারেশন’ বইয়ের লেখক জন হেইডটের গবেষণা অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। হেইডট এবং এনওয়াইইউ স্টার্নের সিনিয়র রিসার্চার জ্যাক রাউশের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, স্ন্যাপচ্যাটের অভ্যন্তরীণ নথিপত্রে স্ট্রাইকসের আসক্তিমূলক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আগে থেকেই জানত সংস্থাটি।

যদিও আজকের দিনে ফেসবুক এখনো মেটার মূল আয়ের উৎস, তবে তরুণ ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে তাদের সংগ্রাম অনেক দিনের। কলেজভিত্তিক ‘ফেসবুক ক্যাম্পাস’ নামক একটি ফিচার চালু করেও ২০২২ সালে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ফেসবুক নতুন করে জেনারেশন জেড প্রজন্মের ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে ডিজাইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে। (সূত্র: টেকক্রাঞ্চ)