মোবাইল স্লো হয়ে গেলে করণীয়

প্রতীকী ছবি

প্রযুক্তি ডেস্ক

১১ আগস্ট ২০২৫, ০২:২৩ পিএম

ঘুম থেকে উঠেই আমাদের হাতে ফোন। সারাটা দিন ফোন ছাড়া যেন আমাদের এক মুহূর্তও চলে না। কিন্তু হঠাৎ যদি ফোনটি স্লো হয়ে যায়? অ্যাপ খুলতে সময় নিচ্ছে। ভিডিও চলতে দেরি হচ্ছে, কিংবা টাইপ করতে গিয়েও দেরি। এই অভিজ্ঞতা এখন অনেকের নিত্যদিনের সঙ্গী। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব সমস্যার সহজ সমাধান রয়েছে হাতের কাছেই।


ভারতে নিষিদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশি টিভি-চ্যানেল

মোবাইল ফোন ধীরগতি হওয়ার প্রথম ও প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত অ্যাপ ও অপ্রয়োজনীয় ফাইল জমে যাওয়া। অনেকেই নতুন ফোন কিনে একের পর এক অ্যাপ ইনস্টল করেন, কিন্তু সেগুলোর মধ্যে কিছুই হয়তো আর ব্যবহার করেন না। অথচ এই অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে র‍্যাম ও প্রসেসরের ওপর চাপ তৈরি করে। ফলে মোবাইলের গতি হ্রাস পায়। সময়মতো অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করা কিংবা অ্যাপ ক্যাশ ক্লিয়ার করা হতে পারে প্রথম পদক্ষেপ।


একইভাবে স্টোরেজ ফুল হয়ে যাওয়া মোবাইল স্লো হওয়ার আরেকটি বড় কারণ। যখন ফোনের মেমোরি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পূর্ণ হয়ে যায়, তখন সিস্টেম অনেকটাই ধীর হয়ে পড়ে। ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ মিডিয়ার আধিক্য এই সমস্যার জন্য দায়ী। Google Files বা CCleaner অ্যাপের সাহায্যে অপ্রয়োজনীয় ফাইল খুঁজে বের করে ডিলিট করা যেতে পারে। আরেকটি গোপন অপরাধী হলো অটো-সিঙ্ক ও ব্যাকগ্রাউন্ড রিফ্রেশ। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেইল ইত্যাদি অ্যাপ যখন নিজে থেকেই ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ চালিয়ে যায়, তখন মোবাইল স্লো হতে বাধ্য। Settings > Battery > Background Activity থেকে এই ফিচারগুলো সীমিত করে দিলে ফোনের গতি ফিরে আসতে পারে অনেকটাই।

অনেকে ভাবেন মোবাইল হ্যাং করছে মানেই সেট নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মাঝে মাঝে ফোন রিস্টার্ট করলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ফোন দীর্ঘদিন রিস্টার্ট না করলে র‍্যামে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলো কার্যকর থাকে, যা ধীরগতির জন্য দায়ী।

যারা দীর্ঘদিন ফোন ব্যবহার করছেন, তাদের ডিভাইসে সিস্টেম আপডেট থাকলেও অনেকেই সেটি ইনস্টল করেন না। অথচ সিকিউরিটি ও পারফরম্যান্স ইমপ্রুভমেন্টের জন্য এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত Android বা iOS আপডেট দিলে ফোন আরো স্মার্ট ও গতিশীল থাকে।

ফোনের হার্ডওয়্যার পুরোনো হলেও সমস্যা হয়। দুই জিবি র‍্যামের ডিভাইসে একাধিক অ্যাপ একসঙ্গে চালাতে চাইলে স্লো হওয়াটা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে লাইট ভারশনের অ্যাপ ব্যবহার করা কার্যকর সমাধান হতে পারে; যেমন Facebook Lite, Messenger Lite, Gmail Go প্রভৃতি।

শেষ কথা হলো, মোবাইল স্লো হওয়ার মানেই তা বদলাতে হবে না। একটু যত্ন, কিছু কৌশল আর কিছু ডিজিটাল ডিটক্সই ফিরিয়ে আনতে পারে আগের গতিশীলতা। প্রযুক্তির এই যুগে প্রতিদিনের সঙ্গী ফোনটিকে সচল ও স্মার্ট রাখতে আমাদেরও জানতে হবে তার ভাষা, বুঝতে হবে ফোনের খুঁটিনাটি।