সংস্কারের লক্ষ্যে এসেছি আমরা : অর্থ উপদেষ্টা

ছবি : সংগৃহীত

অর্থনীতি ডেস্ক

০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম

আমরা সংস্কারের লক্ষ্যে এক থেকে দেড় বছরের জন্য এসেছি। আমরা বেশিদিন থাকব না। কিছু ভালো কাজের উদাহরণ রেখে যেতে চাই। আমরা একটি মেঠোপথ রেখে যাবো, অন্যরা যেন সে পথে এগিয়ে যেতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।


দুদকের আবেদন, জব্দ এস আলম

রোববার (৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘সৌদি-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি: প্রবণতা, মূল চ্যালেঞ্জ এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাবনা; শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।


সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক বিবেচনায় সৌদির গুরত্ব অনেক। অনেক দেশ আমাদের মুক্ত বাণিজ্য করার কথা বলছে। আমরা মুক্ত বাণিজ্য করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সরকারের একার পক্ষে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের সহায়তা দরকার।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং কোম্পানিকে বিমানবন্দর থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সৌদি কোম্পানি আরামকোকে বিমানবন্দর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল।

শেয়ার মার্কেটের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, শেয়ার মার্কেটে অনেক কোম্পানি বিনিয়োগ করছেন। তবে দেখছি, কিছু কোম্পানির ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেলেও তাদের শেয়ারের দাম বাড়ছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, অতীতে বিদেশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিয়ে সমালোচনা ছিল। বর্তমান সরকার বিনিয়োগবান্ধব। আমি বিদেশি বিনিয়োকারীদের নিশ্চয়তা দিতে চাই, বিনিয়োগকারীদের এখন আর আগের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাতে চাই।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন, পররাষ্ট্রসচিব (পূর্ব) মো. নজরুল ইসলাম এবং পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ।

বিনিয়োগ