হজ চুক্তি, বাংলাদেশের অনুরোধ রাখেনি সৌদি আরব

১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫২ পিএম
এবার এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা এক হাজার জন বহাল রেখেই ‘হজ চুক্তি’ সই করেছে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ। সৌদির জেদ্দায় স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১০টায় এই দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি আরবের পক্ষে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তওফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়ার চুক্তিতে সই করেন।

বিশ্বকে পাঁচটি উদ্যোগ নিতে ড. ইউনূসের আহ্বান
জেদ্দায় সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স হলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশি হজ এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা এক হাজার থেকে কমানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
কিন্তু সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা এক হাজার বহাল রাখার বিষয়টি সৌদির সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। বাংলাদেশের পক্ষে হজ পরিচালনা করেন এ জাতীয় ট্রাভেলসের সংখ্যা ৭৫০, বলেন ধর্ম উপদেষ্টা।
২০২৪ সালের অক্টোবরে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীকে এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর কোটা দুই হাজার থেকে কমিয়ে ২৫০ জন করার অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের জন্য বাংলাদেশি এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা দুই হাজার হতে কমিয়ে এক হাজার নির্ধারণ করে। তবে আগামী বছর এজেন্সি প্রতি এই কোটা হবে দুই হাজার জন।
এ সময় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন, কনসাল জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ মাইনুল কবির, কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদসহ রাজকীয় সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।