ইমরান খানের নিরাপত্তা নিয়ে পরিবারের উদ্বেগ

ছবি : সংগৃহীত
০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইমরান খানের জীবিত থাকার দৃশ্যমান কোনও প্রমাণ নেই। তার পরিবারের আশঙ্কা, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান অবস্থা নিয়ে কর্তৃপক্ষ এমন কিছু গোপনের চেষ্টা করছে, যা ‘অপরিবর্তনীয়’। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের কাছে রবিবার (৩০ নভেম্বর) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ করেছেন ইমরানের সন্তান কাসিম খান।
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে
আদালতের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পরিবারের সঙ্গে ইমরানের কারা সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে। এদিকে, জোর গুজব হচ্ছে, ইমরানকে গোপনে অন্য কারাগারে সরানোর চেষ্টা চলছে।
রয়টার্সকে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে কাসিম বলেন, আপনার বাবা নিরাপদ, অসুস্থ কিংবা আদৌ বেঁচেই আছেন কি না—এটা না জানা মানসিক নির্যাতনের মতো। কয়েক মাস ধরে তার সঙ্গে স্বাধীনভাবে কোনও রকম যোগাযোগ নিশ্চিত করা যায়নি।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কাছ থেকে কোনও অপরিবর্তনীয় সত্য লুকিয়ে রাখা হচ্ছে।
তার অভিযোগ, পরিবারের তরফ থেকে ইমরান খানের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের প্রবেশাধিকার একাধিকবার চাওয়া চেয়েছে, কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাকে সেই অধিকার দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে রয়টার্সের অনুরোধে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনও সাড়া দেয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জেল কর্মকর্তা বলেন, ইমরান খান সুস্থ আছেন এবং তাকে উচ্চ-নিরাপত্তার কোনও কারাগারে স্থানান্তরের কোনও পরিকল্পনার কথা তিনি জানেন না।
৭২ বছর বয়সি খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে একাধিক মামলা ঘাড়ে নিয়ে অন্তরীণ আছেন। তবে সব মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ২০২২ সালে পার্লামেন্টারি অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
তার প্রথম দণ্ড ছিল সরকারি দায়িত্বে পাওয়া উপহার বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগের ভিত্তিতে, যা তোশাখানা মামলা নামে পরিচিত। পরে কূটনৈতিক বার্তা ফাঁসের অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং আল-কাদির ট্রাস্ট সম্পৃক্ত দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের দণ্ড যোগ হয়। প্রসিকিউটররা বলেন, ওই দাতব্য প্রকল্পে অবৈধ ভূমি লেনদেন হয়েছিল।
ইমরানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অভিযোগ, এসব মামলা তাকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার অপপ্রচেষ্টার অংশ।


