পাকিস্তানে তালেবানের হামলায় ১২ সেনা নিহত

ছবি : সংগৃহীত
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে তালেবানের অতর্কিত হামলায় কমপক্ষে ১২ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোরে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সামরিক কনভয়ের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সরকার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এএফপিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নতুন যুগে সিরিয়া
প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, ভোর ৪টার দিকে সেনাদের একটি কনভয় দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি শহর অতিক্রম করছিল। এসময় সশস্ত্র হামলাকারীরা দুই দিক থেকে ভারী অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ সেনা নিহত এবং আরও চারজন আহত হন। হামলাকারীরা কনভয়ের অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায়।
পরে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা দিয়ে এ হামলার দায় স্বীকার করে। আফগান তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও টিটিপি একটি পৃথক সংগঠন।
কয়েক মাসের মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এটিই অন্যতম ভয়াবহ হামলা। একসময় প্রদেশটির বড় অংশ টিটিপির নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের পর তাদের দখল কমে আসে। তবে ২০২১ সালে আফগান তালেবান কাবুলের ক্ষমতা গ্রহণের পর পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি হামলা আবারও বেড়েছে।
ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তান তাদের ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে। যদিও কাবুল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন জেলায় ভবনের দেয়ালে টিটিপির নাম লেখা গ্রাফিতি দেখা গেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, ওই অঞ্চলে টিটিপির শাসন আবার ফিরে আসতে পারে।
এএফপির হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় প্রায় ৪৬০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
ইসলামাবাদভিত্তিক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ জানায়, প্রায় এক দশকের মধ্যে গত বছর পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছে—সংখ্যাটি ছিল ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকই সেনা ও পুলিশ সদস্য।


