তুরস্কজুড়ে অভিযান, ৫৬ সেনা কর্মকর্তা গ্রেফতার

ছবি : সংগৃহীত
২৪ মে ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
তুরস্কের সেনাবাহিনীর (টিএসকে) ৫৬ জন কর্মকর্তাকে ফেতুল্লাহ গুলেন ঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসী সংগঠন ‘ফেতো’র সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ইস্তানবুল পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয়। শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়। এছাড়া ৯ জন পুলিশ সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয় যাদের বেশিরভাগই ইস্তানবুলে কর্মরত ছিলেন।

পাকিস্তানের পাশে থাকবে তুরস্ক
ইস্তানবুল কেন্দ্রিক ৩৬টি প্রদেশে চালানো সমন্বিত অভিযানে ৬৩ জন সক্রিয় সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তাদের মধ্যে ৫৬ জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে।
ইস্তানবুল চিফ পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে চারজন কর্নেল, আটজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, ১২ জন মেজর, ১৫ জন ক্যাপ্টেন এবং ২৪ জন নন-কমিশনড অফিসার (সার্জেন্ট পর্যায়ের) রয়েছেন। সকলেই তখনকার সময় সেনাবাহিনীতে সক্রিয় দায়িত্বে ছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফেতো এখনো তুরস্কের সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রীয় অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। সংগঠনটি সেনাবাহিনীতে যে সদস্যদের গোপনে ঢুকিয়েছে, তাদের শনাক্তে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো—পাবলিক স্থানে স্থাপিত পে-ফোন কিংবা বাজার, কিয়স্ক, বিল পরিশোধ কেন্দ্রের মতো জায়গায় ব্যবহার হওয়া প্রিপেইড মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ শনাক্ত করা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কে যে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তাতে ২৫২ জন নিহত ও ২,৭৩৪ জন আহত হন। তুরস্ক সরকার সে ঘটনার জন্য সরাসরি ফেতোকে দায়ী করে আসছে। সরকারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে—বিশেষ করে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিচার বিভাগে গোপনে অনুপ্রবেশ করে সরকার উৎখাতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে উচ্চপদস্থ নেতাদের বড় অংশই অভ্যুত্থানের আগে বা পরপরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। ফেতো প্রধান ফেতুল্লাহ গুলেনের ২০২৪ সালের অক্টোবরে মৃত্যুর পর সংগঠনটি নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে বলে দাবি করছে তুরস্কের গোয়েন্দা সূত্র।