ভারতকে শাস্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৫ পিএম

রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়ালো ৫০ শতাংশ। বুধবার ট্রাম্প এই নতুন নির্বাহী আদেশ জারি করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।


ভারতকে অস্থিতিশীল করছে যুক্তরাষ্ট্র : বিজেপি

ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এই আদেশের ২১ দিন পর পূর্বাঞ্চলীয় গ্রীষ্মকালীন সময় অনুযায়ী রাত ১২টা ১ মিনিট (২১ দিন পর) থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে।


হোয়াইট হাউজ বলেছে, ভারতের রুশ তেল আমদানি ও পুনরায় বাজারে বিক্রি রাশিয়ার যুদ্ধ তহবিলকে আরও শক্তিশালী করছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, এই শুল্ক অন্য দেশগুলোকে রাশিয়ার অর্থনীতিকে সহযোগিতা করা থেকে বিরত রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য রুশ তেল আমদানিকারক দেশগুলো শনাক্ত করবে এবং প্রয়োজন হলে প্রেসিডেন্টের কাছে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে।

ট্রাম্প এর আগেই ভারতের শুল্ক বাড়ানো হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন ইউক্রেনে রাশিয়ার অস্ত্রে কত মানুষ মারা যাচ্ছে তা ভারত আমলে নিচ্ছে না।

ইতোমধ্যে ৩১ জুলাই ৯০টিরও বেশি দেশের ওপর নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তখন ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিলো।

ডোনাল্ড ট্রাম্প পরে বলেছিলেন, আগামী শুক্রবার বা ৮ আগস্টের মধ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতিতে রাশিয়া রাজি না হয়, তাহলে দেশটির সঙ্গে যারা এখনও বাণিজ্য করছে এমন যে কোনও দেশের ওপর নতুন সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করা হবে।

তেল ও গ্যাস রাশিয়ার সবচেয়ে বড় রফতানি খাত। চীন, ভারত ও তুরস্ক মস্কোর সবচেয়ে বড় ক্রেতা।

ভারতেরও ওপর আরও শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়ে ট্রাম্প যা বলেছিলেন তাতে নয়াদিল্লিও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। তারা বলেছিল, রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতকে নিশানা করছে। অথচ তারা নিজেরাই তো রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালাচ্ছে।

বর্তমানে ভারত রাশিয়ার খনিজ তেলের সব থেকে বড় আমদানিকারক দেশ। রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনের ওপরে আক্রমণ করার পর থেকে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য কমিয়ে দিয়েছে। তবে ওই সময় থেকেই রাশিয়ার কাছে ভারত একটা বড় বাজার হয়ে উঠেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত বছর কড়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে সাড়ে তিনশো কোটি ডলারের বাণিজ্য চালিয়েছে।

ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে কোনও বৃহৎ অর্থনীতির মতোই নিজেদের জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষা করতে ভারত প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।