বিদেশি সিনেমা দেখলে মৃত্যুদণ্ড যে দেশে

প্রতীকী ছবি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকারের লঙ্ঘন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, বিদেশি সিনেমা বা টিভি অনুষ্ঠান দেখার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। বেড়েছে জোরপূর্বক শ্রম, বন্ধ হয়েছে নাগরিক স্বাধীনতা।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার : জাপান
উত্তর কোরিয়া—বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত রাষ্ট্রগুলোর একটি। যেখানে পোশাক পরিধান, উৎসব পালন বা কেনাকাটার ক্ষেত্রেও রয়েছে রাষ্ট্রীয় নীতি। আর এসব নিয়ম ভাঙলে পেতে হয় কঠোর শাস্তি। গত ১০ বছরে উত্তর কোরীয় সরকার জনগণের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। কর্মসংস্থান, বাক স্বাধীনতা, এমনকি বেঁচে থাকাটাও সেখানে নিয়ন্ত্রিত।
জাতিসংঘ প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদন বলছে, কিম জং উনের শাসন এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে বিদেশি টিভি সিরিজ দেখা কিংবা শেয়ার করাও মৃত্যুদণ্ড-যোগ্য অপরাধ।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের পর ছয়টি নতুন আইন কার্যকর হয়েছে, যার মাধ্যমে আরও নানা অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও, শিশু, এতিম, ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের নির্মাণ, খনন, এমনকি সামরিক প্রশিক্ষণের মতো কঠিন শ্রমে জোর করে নিয়োগ করছে সরকার।
করোনা মহামারির সময় থেকেই দেশটিতে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। অনেকেই বলছেন, দিনে তিনবেলা খাওয়াও এখন বিলাসিতা। একইসঙ্গে বন্ধ হয়েছে ছোট ছোট বাজার। সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেশ থেকে পালানোর পথও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
জাতিসংঘ বলছে, উত্তর কোরিয়ার এই পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানো উচিত। তবে চীন ও রাশিয়ার সমর্থন না পেলে তা সম্ভব নয়।
এদিকে, সম্প্রতি চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে কিমের পাশে চীনা ও রুশ প্রেসিডেন্টের দাঁড়িয়ে থাকা এই নিপীড়নের প্রতি তাদের নীরব সমর্থনেরই ইঙ্গিত দেয়।


