রমেক হাসপালে রোগীর স্বজন ও সাংবাদিককে মারধর করায়, ৩ আনসার সদস্যকে বরখাস্ত
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে মারধর করে কয়েকজন আনসার সদস্যরা। ঘটনাস্থলে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এক সাংবাদিককে আনসার সদস্যদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে মোবাইল এবং পরিচয়পত্র কেড়ে নেয় আনসার সদস্যরা।

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক, আকবর আলী ও রাশেদুলসহ তিন আনসার সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসিনার শেষ ১০ বছরে সীমান্তে নিহত ৩০৫ জন
রোগির স্বজন ও সাংবাদিক সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সন্তানের নেবুলাইজার আনার জন্য নার্সের কাছে যাচ্ছিলেন নগরীর তালতলা এলাকার আব্দুল বাতেন মিয়া। এ নিয়ে সেখানে আনসার সদস্যের সাথে তার কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাতেন মিয়াকে বেধড়ক মারধর করে আটকে রাখে আনসার সদস্যরা।
ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় দৈনিক বায়ান্নর আলোর স্টাফ রিপোর্টার ফেরদৌস জয় সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান ঘটনাস্থলে। এ সময় ওই সাংবাদিক আনসার সদস্যদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে, তারা কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মারধর এবং মোবাইল ফোন পরিচয়পত্র কেড়ে নেয়া হয়।
এই ঘটনার পর সেখানে উপস্থিত হন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান এবং আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রাথমিক তদন্ত শেষে হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের কক্ষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, আনসার, সাংবাদিক এবং পুলিশের যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩ আনসার সদস্যকে হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহার এবং সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রংপুর সদর উপজেলার পরিদর্শক আনসার মো. মনিরুজ্জামান জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তদন্ত সাপেক্ষে স্থায়ী বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তিন আনসার সদস্যকে কোথাও দায়িত্ব পালন করতে পারবেনা সেই সিদ্ধান্ত হয়।সেই সাথে ওই সাংবাদিকের মোবাইল ফোন পরিচয় পত্র ফিরিয়ে দেয়ার কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাংবাদিক ফেরদৌস জয় জানান,খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে যাই। আমি সংবাদ পেয়ে তথ্য সংগ্রহর জন্য গিয়ে দেখি হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের কক্ষে মারধরের শিকার হওয়া রোগীর স্বজনকে আটকে রাখা হয়। আমি তার ভিডিও নিতে যাই এমন অবস্থায় আনসার সদস্যরা আমাকে মারধর করে পরে মেবাইল আমার পরিচয় পত্র কেড়ে নেয়। এ ঘটনায় আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান জানান, রোগীর স্বজনকে আনসার সদস্যরা মারধর করা এটি দুঃখজনক। কোনভাবেই এটা মেনে নেয়া যায় না। যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে অভিযুক্ত তিন আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হযয়েছে। সেই সাথে কোথাও দায়িত্ব পালন করতে পারবেনা। আর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা সেটিও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।