শহীদ মিনারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ৬ দাবি

১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করে ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতসহ ছয় দফা দাবিতে ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ কর্মসূচি পালন করছে বিডিআর সদস্য ও তাদের স্বজনরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় 'বিডিআর কল্যাণ পরিষদে'র আয়োজনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিডিআর ও তাদের স্বজনরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির রাজনীতি : ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন
কর্মসূচিতে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে প্রহসনমূলক মামলায় নিরাপরাধ জেলবন্দীদের মুক্তি এবং অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যের সরকারি সকল প্রকার ক্ষতিপূরণসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান ভুক্তভোগী বিডিআর সদস্যরা।
এবিষয়ে কর্মসূচিতে আগত বিডিআর সদস্যের ছেলে হাসিবুল ফারুক বলেন, বিডিআর সদস্যদের নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক তদন্ত ও পাতানো রায় মানি না। আমাদের পরিবারে যে ক্ষতি হয়েছে, আমরা সেই ক্ষতিপূরণ চাই।
বিডিআর সদস্যদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো-
১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
২. এরইমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।
৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নং ধারা বাদ দিতে হবে। একইসঙ্গে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৪. পিলখানায় শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে কারাগারে মারা যাওয়া সব বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে।
৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সব শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে। একইসঙ্গে শহীদদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।