খালেদা জিয়া বেঁচে থাকলে বাঁচবে বাংলাদেশ : গয়েশ্বর

ছবি : সংগৃহীত
৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমাদের মন-প্রাণ পড়ে আছে সেখানে, এভারকেয়ার হাসপাতালের সেই কেবিনে।’ তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট
শনিবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের রায়বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউশন মাঠে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহর সমর্থনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে আজকের এ সমাবেশ, তার মূল কথা হলো প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার। পরিবর্তনের এই রাজনীতিতে আজ দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং সমাজের সাম্প্রদায়িক বাস্তবতায় হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান মিলেমিশে থাকার যে আহ্বান, সেটি বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘ ৪০ বছর রাজপথে লড়াই করেছেন বেগম জিয়া।’
খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘যিনি লড়াই করেছেন মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য। যার যার ধর্ম শেষে স্বাধীনভাবে পালন করবে, এই নীতিতে অটল ছিলেন তিনি। আপস করেননি, ফ্যাসিবাদের সঙ্গেও মাথা নত করেননি। কারাবরণ সাদরে গ্রহণ করেছেন। কারাগার থেকে হাসতে হাসতে বাইরে এলেও শরীর সুস্থ হয়নি।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘যথাযথ উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া গেল না। আজ তাঁর শারীরিক জটিলতা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, যে প্রধান রোগের চিকিৎসা করাও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আজ মারাত্মকভাবে জটিল অবস্থায় আছেন। ১৮ কোটি মানুষের ভগবান ও আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া কিছুই করার নেই।’
খালেদা জিয়ার জন্য সবাইকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘হিন্দু মায়েরা ঠাকুরের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করবেন। মুসলিম ভাইয়েরা আল্লাহর দরবারে বলবেন, তুমি খালেদা জিয়াকে সুস্থ করো। সবাই বলবেন—আমার যা হায়াত আছে, এক বা দুই বছর কমিয়ে দাও, সেই হায়াত খালেদা জিয়ার ওপর আরোপ করো। তাঁকে টিকিয়ে রাখো। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে। তিনি বেঁচে থাকলে গণতন্ত্র ফেরত পাবে। তিনি বেঁচে থাকলে আমাদের রাখাল রাজার স্বপ্নের বাংলাদেশ পূরণ হবে।’
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শুধু সংসদ সদস্য বানানোর নির্বাচন নয়। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র কাঠামোতে মানুষের কাম্য পরিবর্তন আসবে। যাতে নারী-পুরুষের বৈষম্য না থাকে, হিন্দু-মুসলমানের বৈষম্য না থাকে, ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর হয়। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে সবার সহযোগিতা দরকার।’
আলী আজগর অ্যান্ড আব্দুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও মুন্সিগঞ্জ জেলা রামকৃষ্ণ ভক্তসংঘের সভাপতি বিশুদ্ধানন্দ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম মৃধা, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম হায়দার আলী, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি প্রশান্ত কুমার মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত চক্রবর্তী, সিরাজদিখান উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি তপন দাস, সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানদীপ ঘোষ, শ্রীনগর উপজেলার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি উত্তম কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দাস, সিরাজদিখান উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিমল চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক তপন রাজবংশী প্রমুখ।


