ডাকসু নির্বাচন ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা

ছবি : সংগৃহীত

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

২৬ আগস্ট ২০২৫, ০১:৪৬ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হয়েছে। এদিন বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক বৈঠকের মধ্য দিয়ে এ প্রচারণার সূচনা ঘোষণা করা হয়।


বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিতে উচ্চশিক্ষার দুর্দান্ত সুযোগ

এদিন চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর উদ্দেশে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫২, ৬৯, ৭১, ৯০ এবং ২৪-এ জাতিকে পথ দেখিয়েছে। ডাকসু প্রার্থীদের কাছে আহ্বান থাকবে, দলীয় রাজনীতির বাইরে গিয়ে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বজায় রাখুন। গণতন্ত্র বঞ্চিত জাতির জন্য ডাকসু একটি মডেল হতে পারে। Let's make a historic DUCSU.’


নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয় গঠন করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারদের তথ্য অনুযায়ী— প্রথম স্তরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রক্টোরিয়াল বডি ও ডিএনসিসির ২০০ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে ৮টি ভোটকেন্দ্রে; দ্বিতীয় স্তরে মোতায়েন থাকবে পুলিশ; তৃতীয় স্তরে থাকবে সেনাবাহিনী, যারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারবে। ভোট শেষে ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনী ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

এছাড়া ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলীও নিশ্চিত করেছেন যে তারা ডাকসু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করবে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের ৭ দিন আগে থেকে হলে কোনো বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাক বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ৮-৯ সেপ্টেম্বর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে এবং ক্যাম্পাসে শুধুমাত্র বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার থাকবে।

আচরণবিধির প্রতি সতর্কবার্তা

এদিন রিটার্নিং অফিসারগণ বৈঠকে প্রার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেন, প্রচারণা যেনো শিক্ষা-গবেষণা ও নিয়মিত পাঠ্যকার্যক্রম ব্যাহত না করে। মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো অসম্মানজনক আচরণ করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর লিঙ্গ, ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ে আঘাত আনলে প্রার্থীর মনোনয়ন, আবাসিক সিট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। এছাড়া অনলাইনে হেইট স্পিচ ও হয়রানি চালানো হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থী যদি সচেতন থাকে, তবে আমরা সুন্দরভাবে ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবো। ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে সমগ্র দেশ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই আশা করবো, সবাই মিলেই একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নির্বাচনী ঐতিহ্য গড়ে তুলবেন।’