আট বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ৯ম আসর শুরু

ক্রিকেটকে বলা হয় ভদ্রলোকের খেলা। সেই ভদ্রতা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয় ক্রিকেটকে সম্প্রসারণের। সেই উদ্যোগের বাস্তব রূপায়ণের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে বেছে নেওয়া হয় ১৯৯৮ সালে, হয়ে যায় প্রথম আসর।

ফাইল ফটো

ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম

বাংলাদেশ তখন আইসিসির পূর্ণ সদস্য হয়নি, খেলছে সহযোগী সদস্য হিসেবে। আগেই বলেছি, উদ্যোগ ছিল ক্রিকেটকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া। তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী আসর আয়োজনের দায়িত্বভার দেওয়া হয় সহযোগী অথচ ব্যাপক আগ্রহী বাংলাদেশের ওপর। লাল-সবুজের সোনার বাংলাদেশে বেশ ভালোভাবেই সম্পন্ন হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম আসর। অংশ নেয় ৯টি দল।


বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ফেল সাকিব আল হাসান

দুই বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয় আসর আয়োজন করে আফ্রিকান দেশ কেনিয়া। এরপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুই বছর বিরতি দিয়ে ৫টি আসরটি অনুষ্ঠিত হয় নিয়মিতভাবেই।


এরপরই কেমন জানি অবহেলিত হতে থাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০০৬ সালের পর ষষ্ঠ আসর আয়োজন করা হয় ৩ বছর পর, ২০০৯ সালে। পরবর্তীতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেখার অপেক্ষা আরও দীর্ঘ করতে হয় ক্রিকেট পাগলদের।

২০১৩ ও ২০১৭ সালে হয় পরবর্তী দুটি আসর। অর্থাৎ বিরতি নেওয়া হয় ৪ বছর করে। এরপরের ঘটনা তো সবারই জানা। ভক্তদের অপেক্ষার প্রহরকে টেনে ৮ বছর করা হয়। অবশেষে ২০২৫ সালে এসে আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের উদ্যোগ নেয় আইসিসি।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে ক্রিকেটকর্তাদের অবহেলার কারণ হতে পারে, এত এত আইসিসি ইভেন্টের কী দরকার; এমন ভাবনা তৈরি হওয়া। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মাঝে আরও কোনো টুর্নামেন্ট বাড়তি ঝামেলা আরকি!

সেসব ভাবনাকে ফেলে আজ বুধবার শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। ৮ বছরের লম্বা বিরতির পর ফিনিক্স পাখির মতো ফেরত আসা টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি। করাচির ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে সারাবিশ্বে সম্প্রচার হবে হাইভোল্টেজ ম্যাচ।